মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

২০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের করার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী মহিতুল ইসলাম প্রকাশ মিটুন (৩৪)-কে ৮ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাস কারাদন্ড এবং অপর আসামী মোঃ রাহাত আলী প্রকাশ মতিন (৫৫)-কে ৬ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাস কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের যুগ্ম দায়রা জজ-১ মাহমুদুল হাসান গত মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর এক রায়ে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো-২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের কলাতলী ব্লক-১ এর ৩ নম্বর রোডের সী আরাফাত রিসোর্ট নামীয় আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ হতে দন্ডিত আসামীদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কোতোয়ালী সার্কেলের পরিদর্শক এস.এম সামসুল কবীর বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার থানা মামলা নম্বর : ০৫/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৯৩৮/২০১৭ ইংরেজি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্টো অঞ্চলের কোতোয়ালী সার্কেল মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এরপর কক্সবাজারের বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান এর আদালতে সাক্ষীর সাক্ষ্য, জেরা, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত আসামীদ্বয়কে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারার টেবিল ৯(খ) ধারামতে বর্নিত সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামী মহিতুল ইসলাম প্রকাশ মিটুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ধানুরমোড় অজহিদপুরের মোঃ তানজিল আলম ও মোছাম্মৎ সাকেরা বেগমের পুত্র। সে রায় ঘোষনার সময় আদালতের কাটগড়ায় উপস্থিত ছিল। অপর আসামী মোঃ রাহাত আলী প্রকাশ মতিন রাজশাহীর মতিহার উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার তাহাজ মন্ডল ও আয়েশা বেগমের পুত্র। সে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট আবদুর রউফ এবং হাজতী আসামী মহিতুল ইসলাম প্রকাশ মিটুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট অরূপ বড়ুয়া তপু।