এম.এ আজিজ রাসেল:
শহরের মোবাইল গেইম ফ্রি—ফায়ারকে কেন্দ্র করে সোহেল নামের এক কিশোরকে মারধর করেছে তার বন্ধুরা। মারধরের অপমান সইতে না পেরে ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। বুধবার বিকালে বৈদ্যঘোনার বিবেকানন্দ স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করা কিশোর ওই এলাকার মৃত কলিম উল্লাহ পুত্র।

নিহত সোহেলের বড় ভাই জুয়েল জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল গেইম ফ্রি—ফায়ারের আইডি নিয়ে সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় সোহেলকে ব্যাপক মারধর করে ওই এলাকার দুদু ভাইয়ের এক পুত্র মাহিন, জয়, রিয়াদ, জামিল ও জিয়ার নেতৃত্বে ৬—৭ জন কিশোর। এসময় তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহেলকে বাচাতে গেলে তারা আমাকেও করে।

তিনি আরও জানান, বন্ধুদের হাতে নিগৃহীত হয়ে অপমান সইতে না পেরে বিকাল ৪টার দিকে বাড়ির একটি রুমে গিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোহেল। পরে একঘন্টা পর ওই রুমে আমি ঢুকে সোহেলকে রশিতে ঝুঁলানো অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাকে দ্রুত নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিসক মৃত ঘোষণা করে।

তবে এই মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। হাসপাতালের মর্গে গেলে সোহেলের ভাই ও স্বজনসহ প্রতিবেশীরা কেউ মুখ খুলতে চায়নি। আত্মহত্যা করা সেই রশিটি অত্যন্ত চিকন। সোহেলের ওজন অনুযায়ী ওই রশি নিয়ে মৃত্যু হওয়া অসম্ভব বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।

নিহত সোহেলের বোন জানান, আমার দুই ভাইকে তারা ব্যাপক মারধর করে। যার কারণে সোহেলের মৃত্যু হয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
জানা গেছে সোহেল ও জুয়েলের উপর হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর—উল গীয়াস বলেন, এই ঘটনা এখনো পুলিশকে অবহিত করা হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবজি, ফ্রি—ফায়ারসহ বিভিন্ন মোবাইল গেইমকে কেন্দ্র করে বাড়ছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। এসব ঘটনা অনাকাঙ্খিতভাবে পৌঁছে যাচ্ছে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্ত। যা ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। সময় থাকতে মোবাইল গেইমের লাগাম টেনে না ধরলে আরও অনেক মায়ের বুক খালি হবে মনে করছেন সুশীল সমাজ।