সংবাদদাতা:

কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে চাঁদা না দেয়ায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির ছয়টি গরু লুটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তাকে মারধরের চেষ্টারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাশেদা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে উপার্জন করা টাকা দেশে পাঠায়। কিন্তু এর মধ্যে তার ছেলে বকে যায়। বকে গিয়ে বাপের পাঠানো সব টাকা আত্মসাৎ করে। এর ফলে প্রবাস থেকে এসে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু তারপরও থামেনি বখে যাওয়া পুত্র কলিম উল্লাহ। তিনি মাদক সেবনসহ অনৈতিক পথে টাকা খরচ করার জন্য অসহায় জাহাঙ্গীরের কাছে টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় কয়েকবার পিতাকে মারধর করেছে অবাধ্য সন্তান কলিম উল্লাহ।
এর মধ্যে কলিম উল্লাহ যোগ দেয় আব্বাস উদ্দীন নামের এক স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে। আব্বাস এলাকায় অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বলে লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
কলিম উল্লাহর পক্ষ নিয়ে আব্বাস উদ্দীন কয়েকদিন ধরে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীরকে হুমকি দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, আব্বাস আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দাবি করে। তা না হলে আমার পালিত ৬টি গরু দিয়ে দিতে বলে। এই নিয়ে লোক পাঠিয়ে জাহাঙ্গীরকে ডেকে পাঠায় আব্বাস উদ্দীন । কিন্তু ডাকে না যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্বাস উদ্দীন। শেষে মঙ্গলবার রাতে ভাড়াটে লোক দিয়ে জাহাঙ্গীরকে ধরে আনতে পাঠায়। তবে তিনি পালিয়ে রক্ষা পায়। বর্তমানে তিনি ভয় আর হুমকিতে এলাকা ছাড়া বলে জানিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম আরো অভিযোগ করেন, আব্বাস উদ্দীনের হুমকির কারণে তার পালিত ছয়টি গরু তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে গচ্ছিত রেখেছেন। কিন্তু সেখান থেকেও গরুগুলো লুট করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সব মিলে এক চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর এবং তার ছেলে কলিম উল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে ছেলে কলিম আমাকে বিচার দেয়। আমি জাহাঙ্গীরকে ডেকে পাঠালে আরো উল্টো বলে। পরে তার ছেলেকে না করে দিয়েছি। এছাড়া তার সাথে আমার কোনো সমস্যা নেই।’