২-০ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি

স্পোর্টস ডেস্ক:

হাটুর চোটের কারণে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের হয়ে লিগ ওয়ানের দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। চোট সেরে মাঠে নেমে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেলেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে তার আগে ইদ্রিসা গের লক্ষ্যভেদে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল এগিয়ে যায়। তাতেই পার্ক দি প্রিন্সেসে ২-০ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিসের দলটি।

এ নিয়ে ষষ্ঠবারের দেখায় সিটির বিপক্ষে প্রথম জয় পেল পিএসজি। আগের পাঁচ মোকাবেলায় সিটি জিতেছে তিন ম্যাচে। অপর দুটি ম্যাচ ড্র।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লিওনেল মেসি গোলের দেখা পান। এমবাপ্পের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সের বাইরে থেকে নিঁখুত শটে পিএসজির হয়ে প্রথম লক্ষ্যভেদ করলেন এই তারকা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে প্রায় সমানে সমান দুইদল। ম্যান সিটির আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পিএসজি একটু দেখেশুনে খেলতে থাকে। তবে গোল পেতে সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। ম্যাচ ঘড়ির ৮ মিনিটে পিএসজি এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে এমবাপ্পের কাটব্যাক থেকে নেইমারের পা হয়ে বল পেয়ে যান ইদ্রিসা গে। সেনেগালিজ এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার একটু জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যান সিটি গোল শোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২৫ মিনিটে পেপ গার্দিওয়ালার দলের দুর্ভাগ্য। দুটি প্রচেষ্টা বারে লেগে ফিরে প্রতিহত হয়! কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রসে রহিম স্টার্লিংয়ের হেড ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বলে ৬ গজ দূরত্ব থেকে বার্নার্ডোর শট ক্রস বারে লেগে গোল হয়নি।

৩২ মিনিটে হোয়াও ক্যানসেলো এর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট গোলকিপার দোনারুম্মা তালুবন্দী করেন। শেষ ১৩ মিনিটে খেলা আরও জমে ওঠে। দুইদলই সুযোগ পেয়েছিল লক্ষ্যভেদ করার। কিন্তু কেউই সফল হতে পারেনি। ৩৫ মিনিটে নেইমারের শট অনেক দূর দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর মাহরেজের পাসে ব্রুইনার শট গোলকিপার তালুবন্দী করেন।

৩৮ মিনিটে এমবাপ্পের কাটব্যাক থেকে হেরেরার শট গোলকিপার মোরারেস হাত উচিয়ে রুখে দেন। ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে রুবেন দিয়াসের হেড দোনারুম্মা ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন।

১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতির পর পিএসজি অনেকটাই প্রতি-আক্রমণ নির্ভর খেলেছে।

শেষের দিকে মাহরেজের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ম্যান সিটিকে হতাশই হতে হয়। ম্যাচের বাকি সময়টুকু ২-০ স্কোরলাইন ধরে রেখে ম্যাচ জিতেছে প্যারিসের সেরা দলটি।