পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার থেকে পেকুয়া হয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট হিসাবে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পেকুুয়া-টৈটংস্থ আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছেন।

পেকুয়া থানা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সড়কে চেকপোস্ট না থাকার সুযোগে এ রুট দিয়ে ইয়াবাগুলো বাঁশখালী হয়ে চট্টগ্রামে পাচার করতে গিয়ে পেকুয়ার সীমান্ত পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ফুটখালী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় বাঁশখালী থানা প্রশাসনের বসানো চেকপোস্টে গিয়ে ধরা পড়ছে তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

পেকুয়া থানার পুলিশ মাদক উদ্ধারে জিরোটলারেন্স ঘোষণার পরও ইয়াবা উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের আটক করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ইয়াবা বিক্রি করে যুব সমাজকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পেকুয়ার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টৈটং সড়ক হয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করতে গেলে পুলিশ তাদের নাগাল না পেলেও পেকুয়া সদর চৌমুহনীস্থ মোড়ে সিএনজি সংগঠনে জড়িত অল্প কয়েকজন ব্যক্তি তাদেরকে পাঁকড়াও করে ইয়াবাগুলো ছিনতাই করে। এমনকি গতকাল পেকুয়া সদর ইউপির বাইম্যাখালী থেকে চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে আনোয়ারায় গিয়ে ধরা পড়ে তিনজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। এছাড়াও বিগত কিছুদিন আগে জেলা ডিবি পুলিশের অভিযানে পেকুয়ার উজানটিয়া থেকে ১লাখ ১৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পাশাপাশি দুইজনকে আটক করলেও এ ক্ষেত্রে থানা পুলিশ ছিল নিরব ভুমিকায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ দুই মাসে বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে পুঁইছড়ি ফুটখালী ব্রীজ সংলগ্ন চেকপোস্টে ১৫ টি পৃথক অভিযানে সাড়ে ৬৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় কক্সবাজার আর চট্টগ্রামের নারী পুরুষ বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারও করে তাঁরা। অথচ ওই দুই মাসে পেকুয়া থানা পুলিশ উল্লেখযোগ্য ইয়াবা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। আটক করতে সক্ষম হয়নি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের।

সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর ফুটখালী ব্রীজ সংলগ্ন চেকপোস্টে যে সমস্ত ইয়াবা পুলিশের হাতে জব্দ ও ব্যবসায়ী আটক হয়েছে তারা নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করেছে পেকুয়া-টৈটং আঞ্চলিক মহাসড়ক।

পেকুয়া সড়কে নজরদারী না থাকায় বাঁশখালীতে গিয়ে ধরা পড়েছে ইয়াবাগুলি। এরই মাঝে পেকুয়া থানা পুলিশের কার্যকর অভিযান না থাকায় অল্প কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কৌশলে আটকিয়ে চৌমুহনী সিএনজি স্টেশনের দুইজন লাইনম্যান বিভিন্ন সময় ইয়াবাগুলো ছিনতাই করে বহু টাকার মালিক বনে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার কারণে কিছু ব্যবসায়ী খুচরাভাবে পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে যুব সমাজকে ধংস করে দিচ্ছে। মাদক সেবীরা ভয়ংকর এ মাদক সেবন করে চুরি আর ছিনতাইয়ের মত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি কিশোর বয়সের বেশ কয়েকজন ইয়াবা সেবনকারী কিশোর গ্যাং তৈরি দিনদুপুরে সড়কে চলাচলকারী লোকদের কাজ থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে।

পেকুয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ইয়াবা ভয়ংকর এক মাদক। যুব সমাজ তা সেবনে ধংসের দারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। পেকুয়ার বেশ কয়েকটি পাড়া মহল্লায় খুচরাভাবে ইয়াবা বিক্রি হয় প্রকাশ্যে। এছাড়াও পেকুয়া-টৈটং সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট নিয়মিত হলে ব্যবসায়ীরা ইয়াবা পাচার করতে ভয় পাবে।