এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:
গত ২০ সেপ্টেম্বর চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের ছয় দিন পরও কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে অপসারণ করা হয়নি নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার। রবিবারও পৌর এলাকার সড়ক, দোকান, স্কুলের সামনে এসব পোস্টার-ব্যানার ঝুলে থাকতে দেখা যায়। অনেক জায়গায় সাঁটানো পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে সড়ক ওপর পড়ে আছে। কোনো প্রার্থীকেও নিজ উদ্যোগ পোস্টার সরাতে দেখা যায়নি।
গতকাল বেলা ১২টার দিকে পৌর এলাকার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চিরিংগা, থানার রাস্তার মাথা, থানার সেন্টার, উপজেলা পরিষদ, মগবাজার, বিদ্যাপীঠ, জনতা মাার্কেট, বাইতুশ শরফ, কাহারিয়াঘোনা, করিয়াঘোনা, লক্ষ্যারচর, ফুলতলা ও সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় দেখা যায়, প্রচুর পোস্টার-ব্যানার টানানো। অনেক জায়গায় ছেঁড়া পোস্টার মাটিতে পড়ে আছে, কোথাও পোস্টারসহ রশি ছিঁড়ে সড়কের মাঝখানে ঝুলে আছে।
চিরিংগা থেকে মগবাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের ওপর সারি সারি শুধু পোস্টার দেখা মিলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তিন শ গজের মধ্যে পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করা না হলেও তাঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই। পৌর কর্তৃপক্ষও পোস্টার অপসারণের দায়িত্ব নেয়নি।
মগবাজার এলাকার একজন দোকানদার বলেন, ‘ভোট শেষ হয়েছে আজ ছয় দিন হয়েছে। এখনো কোনো প্রশাসনের কেউ অপসারণ করতে দেখা যায়নি। কোনো প্রার্থীও নিজ দায়িত্বে পোস্টার সরাতে দেখা যায়নি। নিজ থেকে পোস্টার সরাতে চাইলে নিজেরই বিপদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে করিনি। এসব পোস্টার সব প্রভাবশালী নেতাদের, ধরলেই বিপদ।’
চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও রাস্তায় ঝুলে আছে প্রার্থীদের পোস্টার। নির্বাচনী আচরণবিধিতে নির্বাচনে শেষে পোস্টার সরানো নির্দেশনা রয়েছে। তবে তা কেউই মানেনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভা ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে এসব পোস্টার সরিয়ে ফেলার কথা। ভোটের ফল ঘোষণার দিনই প্রার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, যেন নিজ দায়িত্বে পোস্টার সরিয়ে ফেলেন।’##
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।