চকরিয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টর্চ লাইটের আলো চোখে পড়ার প্রতিবাদ করায় হাফেজ ফরিদুল আলম (৫৫) নামে এক মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল সন্ত্রাসী।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ফরিদুল আলমকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ফরিদুল আলম ওই এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে ও ইলিশিয়া মাঝেরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম।

আহত হাফেজ ফরিদুল ইসলাম জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আমার বাড়িতে অসুস্থ ছেলে আবদুল্লাহকে দেখতে ২ জন মেহমান আসে। তাদের নিয়ে বাড়ির উঠানে বসে নাস্তা করছিলাম। এসময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী নাজেম উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ লালাইয়াসহ তিন যুবক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় আমার উঠানের দিকে টর্চ লাইটের আলো ফেললে মেহমানদের চোখে পড়ে। পরে মেহমানদেরকে আগ বাড়িয়ে বিদায় দেওয়ার পর চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম, তার সহপাঠি মো.মিনার ও জমির অতর্কিত ভাবে আমাকে বেধড়ক মরাধর করে ও কুপিয়ে আহত করেন। আমার শোর চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার জের ধরে ১০-১২জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী মিলে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে আমার বসত ঘরে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয় তাঁরা। সন্ত্রাসীদের দেয়া আগুনে এতে বসত ঘরসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত ফরিদুল আলমের পরিবার সূত্রে জানা যায়।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলাল বলেন, মসজিদের এক ইমামকে কুপিয়ে আহত করে তার বসতঘর জালিয়ে ভস্মিভুত হওয়ার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে

পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে প্রশাসনকে অবহিত করি। বিষয়টি খুবই দু:খজনক।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত কর্মকর্তা) জুয়েল আহমদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই দ্রুত পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।