শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়ায় বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সান্ধায় প্রিসাইডিং অফিসার সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় মামলাটি করেন।
এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বড়ঘোপ ইউনিয়নে পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১০০/১৫০ জন লোক প্রবেশ করে ব্যালট ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইর চেষ্টা করে এবং ব্যালট পেপারে শিল মারতে থাকে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিংসহ দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাদের উপর হামলা করে এবং প্রিসাইডিং অফিসারকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রিসাইডিং অফিসার ডা. সাহাব উদ্দীন দ্বায়িত্ব পুলিশকে সাইনা রাইফেল, এসএমসির কয়েক রাউন্ড গুলি করার নিদের্শ দেন।
পরে, তাঁরা দেখতে পান ২য় তলায় পুরুষ বুথের সামনে একজন লোক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয় এবং দ্বায়িত্ব চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল হালিম ঐ কেন্দ্রের নৌকার এজেন্ট ছিলেন।
এই বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার জানান, ইউনিয়নের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুরে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।