প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলা পরিষদ ভবনকে পেছনে ফেলে সামনের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে দোকান বরাদ্ধের নামে সরকারি জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যাবসায়িক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নাগরিক কমিটি রামু উপজেলার আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন- উপজেলা পরিষদের সামনের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে দোকান নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। রামুর সচেতন মানুষ চায়না রামুর সৌন্দর্য নষ্ট হোক। ওখানে দোকান নির্মাণ করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।

এমপি কমল বলেন, রামুতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমী, ক্রীড়া ভবন, অফিসার্স ক্লাব, যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রসহ এলাকার ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এ রকম প্রতিষ্ঠান করার জন্য জমি নাই। দৃষ্টিনন্দন ভাবে এরকম প্রতিষ্ঠানগুলোই উপজেলা পরিষদের পাশে থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, পরিষদের সামনের খালি জায়গা গুলোতে দৃষ্টিনন্দন ভাষ্কর্য, লেক, মানুষের বসার ব্যাবস্থা করলে রামুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
ইতিবাচক চিন্তার বাইরে এসে মার্কেট নির্মাণের মতো দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত পরিহার করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

নাগরিক কমিটি রামু উপজেলার আয়োজনে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সদস্য ফুটবলার বিজন বড়ুয়া, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মাহবুব, রামু উপজেলার সভাপতি, নাট্যকার মাস্টার মোহাম্মদ আলম, হাকিম-রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কিশোর কুমার বড়ুয়া, রামু চৌমুহনী বনিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ চম্পক বড়ুয়া জুয়েল, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ফরিদ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক, মোহাম্মদ আলম, হাজ্বী নুরুল কবির, ব্যবসায়ি আবু তাহের, রামু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাবেক ফুটবলার ও কণ্ঠশিল্পী ইসকান্দর মীর্জা, তাঁতীলীগ কক্সবাজার জেলার সহ সভাপতি আনচারুল হক ভুট্টো, রামুর সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম কাজল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মিজানুল হক রাজা, ওলামালীগের সভাপতি মৌং নুরুল আজিম, সাধারণ সম্পাদক মৌলানা জামাল উদ্দিন আনচারি, প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাহেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, তসলিম উদ্দিন সোহেল, এনামুল হাসান রিয়াদ, মোহাম্মদ জাহেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বনিক সমিতির সদস্য আজিজুল হক আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, রামু উপজেলা পরিষদের সামনে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বরাদ্ধ দিলে ঐতিহ্যবাহি ও দৃষ্টিনন্দন রামু উপজেলা পরিষদ ভবন এর সৌন্দর্য ভূলুন্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি এলাকাটি হাটবাজারে পরিনত হবে। এতে উপজেলায় সেবা নিতে আসা লোকজনকে ভোগান্তি পোহাতে হবে। তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন সরকারের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র। সম্পুর্ন সরকারী অর্থায়নেই এগুলো পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের গুরুত্বপুর্ণ রামু উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন এমন কোন অর্থ সংকটে পড়েনি যেখানে পুরো ভবনকে আড়াল করে সামনে মার্কেট নিমার্ণ করে দিতে হবে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই দায়িত্বশীলরা আর্থিক লাভবান হয়ে দোকান বরাদ্ধের নামে সরকারি জমি বিক্রির পাঁয়তারা করছে। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দোকান নির্মান করলে রামুর সচেতন নাগরিক তাহা প্রতিহত করবে।