ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
টেকনাফের উনছিপ্রাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লম্বাবিল এমদাদিয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। ঘটেছে সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয়রা।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরফানুল হক চৌধুরী বেলা ১টার দিকে লম্বাবিল ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেন। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও এজেন্টদের অভিযোগ শোনেন। তাৎক্ষণিক দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী।

মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ জিয়াবুল হক অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে সুন্দরভাবে ভোট চলছিল। ঘণ্টা মতো ভোট গ্রহণের পর মেম্বারের ভোট ছাড়া বাকি দুই পদে ভোট চলবে ঘোষণা দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরফানুল হক চৌধুরী। এ কথা শোনার সাথে সাথে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

কারণ চাইতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যালট ছিনতাইয়ের সাথে আবদুল বাছেত (বর্তমান মেম্বার) সরাসরি জড়িত। তা কারণে ঘটনার সুত্রপাত।

লম্বাবিল কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার দেব জ্যোতি রুদ্র বলেন, সকাল থেকে ভোটাররা খুব সুন্দরভাবে ভোট দিচ্ছিল। হঠাৎ উনছিপ্রাং ভোটকেন্দ্রের প্রভাবে পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া তছনছ হয়ে যায়। এই সুযোগে কিছু ব্যালটে সীল মারার অভিযোগ উঠেছে।

সংরক্ষিত (৩,৫,৬) ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসিনা আকতার (বক মার্কা) বলেন, আমরা সব প্রার্থী পরস্পর সম্প্রীতি রক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে ছিলাম। হঠাৎ করে ব্যালট ছিনতাইয়ের খবরে মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। উনছিপ্রাং কেন্দ্রে ৫০০ ব্যালটের খোঁজ না পাওয়ায় প্রার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

রিপোর্ট লিখাকালে র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া অবস্থান রয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে তারা ছত্রভঙ্গ করেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে, ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় প্রার্থী, ভোটার ও সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।