মোঃ ফারুক,পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী তথা নৌকা মার্কার সমর্থনে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টায় টইটং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টইটং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আ’লীগ নেতা দুলাল ও
ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি কামাল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।

বক্তব্যে তিঁনি বলেন, উক্ত জনসভায় প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগামী সোমবার টইটং ইউপির নির্বাচনে আপনাদের এলাকার সন্তান উন্নয়ন বান্ধব চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নৌকা মার্কার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে এলাকার সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও দা বাহিনীকে দমন করে এলাকার মা বোন তথা আপনার পরিবারকে শান্তিতে থাকতে দিন। নৌকা প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক। এলাকার উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকা মার্কার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়নে সুযোগ দিন।

তিনি আরো বলেন, জাহেদ চৌধুরী শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থী নই তিনি আজ জনসভার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছেন। এই নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে বেশ কয়েক জন বিএনপি ও জামায়াতের হেভিয়েট নেতারা উপস্থিত হয়ে টইটং ইউনিয়নের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার প্রার্থী তথা জাহেদ চৌধুরীর জন্য ভোট চাইলেন তা অবাক হওয়ার বিষয়।

আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান উপদেষ্ঠা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি উপদেষ্ঠা কমিটির সদস্য রমিজ উদ্দিন আহমেদ, সদ্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানো উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি শহিদুল্লাহ (বিএ), উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ডা.নুরুল কবির, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরী, টইটং ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমীর মৌলভী মোহাম্মদ হোছেন।

এ সময় উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, এখানে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। আমি সালাহউদ্দিন আহমদকে কল করে জেনে নিয়েছি তিনি টইটং ইউপি নির্বাচনে কোন প্রার্থী দিয়েছেন কিনা তিনি জানিয়েছেন কোন প্রার্থী দেয় নাই। উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ ও সম্পাদক ইকবাল কে কল করি তারাও একই কথা বলেছেন। কারণ দলীয় ভাবে কোন নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে কোন প্রার্থী দেয়নি। বিএনপির প্রতীক ধানের শীর্ষ কিন্তু চশমা প্রতীক কোন বিএনপির প্রতীক নই এটি ভাওতাবাজী করে বিএনপি পরিবারের ভোট আদায় করার কৌশল তার। চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন চেয়ারম্যান থাকার সময় তার সামনে দা বাহিনীরা এসে জনপ্রতিনিধি মঞ্জুর মেম্বারকে প্রকাশ্য দিবালোকে হাত কেটে নিয়ে গেলেও তিনি প্রতিরোধ না করে পালিয়েছিলেন। অথচ বিগত সময়ে জাহেদুল ইসলাম চেয়ারম্যান হওয়ার পর টৈটংয়ের পুরো এলাকাকে সন্ত্রাস ও ডাকাতমুক্ত করেছে। এই এলাকায় চেয়ারম্যান হতে হলে সাহসী ও দক্ষ শক্তিশালী হতে হবে। এছাড়াও বর্তমান সময়ে উন্নয়নের জন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা খুব দরকার হয়ে পড়েছে।

সদ্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানো উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি শহিদুল্লাহ (বিএ) বলেন, আমি দলীয় হাইকমান্ডের নিদের্শে ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা উপজেলা নেতাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে জাহেদ চৌধুরীকে ততা নৌকা মার্কাকে সমর্থন জানিয়েছি। ২০ তারিখ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরবো ইনশাল্লাহ।

জামায়াত নেতা ডা.নুরুল কবির বলেন, টইটং ইউনিয়নে দিনদুপুরে নানা ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে সেই অপরাধ দমনে জাহেদ চৌধুরীর বিকল্প নেই। তাই আমরা এক্যবদ্ধ হয়ে জাহেদ চৌধুরীর পক্ষে ভোট করতেছি। মোসলেম উদ্দিন চশমা মার্কা সারাদিন মোবাইল বন্ধ করে ঘুমায় খোঁজ রাখে না জনগণের। সেই প্রার্থীকে আমরা আপনারা কেন ভোট দিব।

এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি আমার জীবনের শেষবিন্দু পর্যন্ত এই টৈটং ইউনিয়নের উন্নয়নে আ’লীগ ও বিএনপি জামাতের নেতাদের মতামত নিয়ে উন্নয়নে কাজ করে যাবো। আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার সন্ত্রাস ও অপরাধ নির্মূল করবো। আমাকে শেষবারের মত আগামী সোমবার আপনাদের মূল্যবান ভোটটি নৌকা মার্কায় প্রদান করে এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন।

এ সময় উপজেলা আ’লীগের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি এটি এম বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেছি, আবুল শামা শামিম, নজরুল ইসলাম সিকদার, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদত হোসেনসহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও শতশত স্থানীয় ভোটার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখঃ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৬১২ জন।