জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষ্যছড়ি:
ধীরগতিতে চলছে নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা সদরের মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ।
কাজ শুরুর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও মূল ভবনের নির্মাণ এখনো শুরুই হয়নি। এমনি কি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়নি এখনো। এখন চলছে ফাউন্ডেশন (পাইল ক্যাপ) ঢালাইয়ের কাজ।
জানা যায়, নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা এই মডেল মসজিদটির বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। কাজের মেয়াদ ছিল ১৮ মাস। সেই হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ সম্পন্নের তারিখ অতিবাহিত হয়েছে।
তবে এখনো দৃশ্যমান হয়নি মসজিদটি। কার্যাদেশ পাওয়ার পরপরই শেফাক সিন্ডিকেট নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেয় সরকার। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় গণপূর্ত বিভাগকে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প শিরোনামে উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা মসজিদ নির্মাণ হবে। যার মধ্যে ৮শ’ মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও নারী-পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজের স্থান, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, হজ্জ যাত্রীদের নিবন্ধন, পর্যটকদের আবাসন ব্যবস্থা, দাওয়াতি কার্যক্রম, হিফজ মাদ্রাসা, মক্তব, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসন প্রকল্পসহ বহুমুখী ইসলামিক কার্যক্রম ও সেবার কথা বলা হয়েছে। শুরুতে ভূমিসহ বিভিন্ন জটিলতায় আটকে যায় মসজিদ নির্মাণকাজ। পরে পুরনো মসজিদ ভেঙে দেড় বছরের অধিক আগে শুরু হয় মসজিদ নির্মাণকাজ। তবে নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলায় নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের কাজে দৃশ্যমান তেমন অগ্রগতি নেই। নাইক্ষ্যছড়ি সদরের গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, মসজিদ নির্মাণকাজে ধীরগতি না বলে স্বিরতা বিরাজ করছে বলা যায়। এতো বড় প্রকল্পে কখনো ২-৩ জন আবার কখনো ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করতো। পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলায় অস্থায়ী একটি ঘরে আমাদের নামাজ আদায় করতে হয়। গণপূর্ত’র নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি এবং মডেল মসজিদের সংলগ্নে বড় একটা টিলা ও পুকুর থাকার কারণে কাজে ধীরগতি হয়েছে। এখন সব কিছুই প্রায় সমাধানের পথে। দুই এক সাপ্তাহ মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল মসজিটির কাজ শুরু হবে’ এবং দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।