সংবাদদাতাঃ
টেকনাফ সদরের ৮নং ওয়ার্ডের একমাত্র ভোট কেন্দ্রটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে নিরাপত্তা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে এলাকার সচেতনমহল। আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়, সদরের বড় হাবির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রটিতে ২০১১ সালের ২ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপর হামলা করা হয়েছিল।
সেই ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল। যার মামলা নং-০৪/১০২ টেকনাফ থানা। মামলার ২নং আসামি মৃত আমির হামজার ছেলে আলী আহাম্মদ এবার মেম্বার পদে নির্বাচন করছেন। এমতাবস্থায় এলাকার শান্তি-শৃঙখলা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরাপত্তা প্রয়োজন। না হলে সেই ২০১১ সালের মতো সন্ত্রাসী হামলার আশংকা করছেন এলাকার লোকজন। ৮নং ওয়ার্ডের সচেতন মুরব্বি ও ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৪০ জনের স্বাক্ষরিত আবেদন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, র‌্যাব-১৫ সিপিসি টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার, অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর সরাসরি গিয়ে প্রদান করা হয়।
মেম্বার পদপ্রার্থী এনামুল হক জানান, প্রতিপক্ষ মেম্বারপ্রার্থী ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়েছেন এবার প্রশাসনসহ সবাই জানেন। তারপরেও এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার শর্তে ঝামেলায় যায়নি। আমি চাই একটি অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। কিন্তু এই ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পারেন সে জন্য অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়নের তিনিও জোর দাবী জানান।
আবেদনে স্বাক্ষরিত গণস্বাক্ষরে বড় হাবির পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুজ্জামান, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার সিটি কলেজ মাস্টার্সের ছাত্র মো: রুবেল, জাফর আলম, টেকনাফ সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মো: শফিক, আবু ছিদ্দিক, মো: আলম, কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র শাহাব উদ্দিন, রামু সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া মো: শাজাহান, ঢাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র মো: সাইফুল ইসলাম ও এসএসসি পরিক্ষার্থী মো: আরমান অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড় হাবির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি। এই ভোট কেন্দ্র থেকে ৮নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে দূরবর্তী হওয়ায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী আলী আহমদ ভোট কেন্দ্র, দখল, দাঙ্গা, হাঙ্গামা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করেছেন। তাই এলাকার নিরাপত্তা চেয়ে স্বাক্ষরিত ৪০ জনের একটি প্রতিনিধিদল উপরোক্ত দপ্তর বরাবর এ আবেদন পত্র জমা দেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: বেদারুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণের আবেদনটি পাওয়ার পর আইন শৃংখলা বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে। কোনভাবে বিশৃংখলা সহ্য করা হবে না। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগিতা দরকার।