সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
স্থানীয় পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জরুরি মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে অংশীদার এনজিওগুলোর (Partner NGO) বিদ্যমান যে সক্ষমতা আছে তা আরও বাড়ানো উচিত। একই সঙ্গে ওই সক্ষমতা উন্নয়নমূলক কাজে কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, আমাদের সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

গত বুধবার বিকালে কক্সবাজারে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আঞ্চলিক কার্যালয়ে অংশীদার এনজিওসমূহের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান কর্মসূচির (বিএইচপি পরিচালক সাজেদুল হাসান, সংস্থাটির অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ ও মাইগ্রেশন কর্মসূচি এবং পার্টনারশিপ স্ট্রেন্থেনিং ইউনিট (পিএসইউ)-এর জ্যোষ্ঠ পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ, ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হকসহ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পার্টনার এনজিওসমূহ থেকে স্ব স্ব সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ সালেহ বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরামর্শ ও উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি আমাদেরকে নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব দিতে এবং সেভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে অর্থায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সুযোগ আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে তাদের মৌলিক চাহিদা ও বাস্তব সমস্যার আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আগামী দিনগুলোতে গুরুত্ব অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে। এইক্ষেত্রে ‘কৌশলগত অংশীদারিত ও ‘বাস্তবায়নের সক্ষমতা’-এই দুটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের ছয়টি পার্টনার এনজিও থেকে আগত শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ ২০ জনের অধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এই ছয়টি এনজিও হচ্ছে সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (শেড), প্রোগ্রাম ফর হেলফলেস অ্যান্ড ল্যাগেড সোসাইটিজ (পালস), অ্যালায়েন্স ফর কো অপারেশন অ্যান্ড লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ (অ্যাকলাব), জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা (জেনাস), নোঙর, ও হেলপ-কক্সবাজার।

এতে পার্টনার এনজিও থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্র্যাকের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা ব্র্যাকের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নিরিখে ও সীমিত সম্পদ বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন, কাজকে গতিশীল করা এবং কাজ বাস্তবায়নে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এর আগে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ সংস্থাটির এইচসিএমপিতে কর্মরত সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ওয়াশ, চাইল্ড প্রোটেকশন, প্রোটেকশন, অপারেশন্সসহ বিভিন্ন সেক্টরের কার্য়ক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এইচসিএমপির আওতাধীন বিভিন্ন সেক্টরের কাজের অগ্রগতিসমূহ নির্বাহী পরিচালককে অবহিত করেন।