এ.এম হোবাইব সজীব, মহেশখালী
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত মহেশখালী পৌরসভার নির্বাচন। ভোট নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে।
জমে উঠেছে পৌরসভার নির্বাচন। কর্মী-সমর্থকদের মুখে- (অমুক মার্কায় দিলে ভোট, শান্তি পাবে এলাকার লোক, যোগ্য দেখে পক্ষ নিন, অমুক মার্কায় ভোট দিন, ভোট চাই ভোটারের, দোয়া চাই সকলের) এমন স্লোগান এখন সর্বত্রই। মহেশখালী পৌরসভার ভোটের মাঠ এমন মুখরোচক প্রচারে সরগরম। বিভিন্ন গানের সুরে ও ছন্দ মিলিয়ে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে মন মাতানো প্রচারে এখন তুঙ্গে মহেশখালী পৌর নির্বাচনী এলাকার ওয়ার্ডগুলো।
অপরদিকে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অলিগলি। প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরাও। প্রচারণাও তুঙ্গে। মেয়র ও কাউন্সিলার প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহূর্তের প্রচারণায়। কর্মী-সমর্থকেরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মন জয় করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটাররাও এখন ব্যস্ত চুলচেরা বিশ্লেষণে।
ভোটারদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার আজমের মধ্যে। তবে সুষ্টু ভোট নিয়ে শঙ্কা ও প্রকাশ করেছেন ভোটারা। কারণ হিসাবে জানাগেছে বর্তমান মেয়র নৌকার মাঝি মকছুদ মিয়ার পরিবারের সাথে সাবেক মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার আজমের পরিবারের সাথে আজীবন চরম দ্বন্ধ চলে আসছে। দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় ধাওয়া পাল্টার ঘটনা ও ঘটেছে। এছাড়া ও পরবর্তীতে খুনখারাবির মত রূপ নেয়। এ নির্বাচনকে
ঘিরে সহিংসতার পদধ্বনি! তবে সাধারণ ভোটাররা এ সংঘাত আর চাই না বলে জানিয়েছেন।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে ভোটগ্রহণ।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন ৪ প্রার্থী। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলহাজ মকছুদ মিয়া, নারিকেল গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমের মধ্যে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন (মোবাইল ফোন) ও সারজিনা আক্তার (জগ) লড়ছেন। তবে বর্তমান মেয়র আলহাজ মকছুর মিয়ার স্ত্রী হওয়ার সুবাদর সারজিনা আক্তার নির্বাচনে কোনো প্রচারণা চালাচ্ছেন না। এ ছাড়া তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জনসহ মোট ৪২ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছে।
এই পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১০ কেন্দ্রের ৪৭টি কক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর ভোট নেওয়া হবে। মোট ভোটারসংখ্যা ২০ হাজার ৪২৭ জন। এঁদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৯৯ জন এবং নারী ৯ হাজার ৬২৮ জন।
এবারের নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোরকঘাটা বাজারের ভূমি অফিস কেন্দ্রটি বদলে নেওয়া হয়েছে সিকদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া মসজিদের পাশের কেন্দ্রটি মওদুদ আহমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সুষ্টু নিরপক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠের লক্ষে প্রশাসন কাজ করবে।