চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে বনবিভাগের একজন গলবি ভিলেজারের বসতভিটা জবরদখলের অভিযোগে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী ভিলেজার সৈয়দ নুর (৬৪)। বাদি ছৈয়দ নুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভিলেজারপাড়ার মৃত গোলাম চোবাহানের ছেলে।

মামলার এজাহারে এক নম্বর বিবাদি করা হয়েছে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক রোস্তম শাহরিয়ারকে। এজাহারনামীয় অন্যরা হলেন রুবেল, শামসুল আলম, নুরুল কাদের, মাহাবুব উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আইয়ুব। এজাহারে ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল দশটা।

বাদি ছৈয়দ নুর এজাহারে বলেন, বনবিভাগের ভিলেজার হিসেবে প্রাপ্ত জমিতে তিনি বসতি নির্মাণপুর্বক পরিবার নিয়ে শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। বাড়িভিটার বিভিন্ন অংশে তিনি বিপুল পরিমাণ গাছও রোপন করেছেন। যা এখন অনেবক বড় হয়েছে।

তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে অভিযুক্তরা দাপটশালী হওয়ায় আইনকে তোয়াক্কা না করে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভিলেজারী হিসেবে প্রাপ্ত বসতভিটার জায়গা দখলে নিতে নানাভাবে অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছিলেন। এরই অংশহিসেবে কিছুদিন অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে বাড়িভিটায় অনাধিকার প্রবেশ করে। এসময় তাঁরা বিপুল পরিমাণ গাছও কেটে ফেলে। এতে তাঁর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ঘটনার সময় আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে জোরকরে বাড়ি থেকে বের করে দেন অভিযুক্তরা। বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তানেরা শ^াশুড় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

বাদি এজাহারে আরও দাবি করেন, ঘটনার পরপর অভিযুক্তরা তাকে একটি মামলায় ফাঁিসয়ে দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে আমি জেল থেকে জামিনে আসলেও করোনাকালীন বিভিন্ন সমস্যা এবং নিজে অসুস্থ হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন আদালতের আশ্রয় নিতে পারেনি।

এই সুযোগে সর্বশেষ সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তরা ফের হানা দেন ভিলেজার ছৈয়দ নুরের বাড়িভিটার জায়গাটি দখলে নিতে। এসময় খবরপেয়ে বাঁধা দিতে গেলে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায় অভিযুক্তরা। সেই থেকে বাড়ি ফিরতে পারছেনা গরীব ভিলেজার ছৈয়দ নুর। এখন তাকে নতুন মামলায় আসামি করে এলাকা ছাড়া করবে, তারপর বাড়িভিটা দখলে নেবে এইধরণের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা।