এম.এ আজিজ রাসেল:
ওয়ালটন বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়ার মেয়েরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৈকতের কলাতলীর ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলার মহিলা ইনানী ফুটবল দলকে ট্রাইবেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে চকরিয়া মাতামুহুরি ফুটবল একাডেমী।

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় শুরু থেকে জ্বলে উঠে সদরের মেয়েরা। তবে চকরিয়ার অভিজ্ঞ রক্ষণভাগের প্রহরীরা তাদের তেমন সুবিধা করতে দেয়নি। শেষ মুহূর্তে উভয় পক্ষের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মাঝে। বিশাল সাগরের জলরাশি ও ঢেউয়ের গর্জন মাতিয়ে তোলে সবাইকে। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে গোলের দেখা পায় চকরিয়া। এতে আনন্দে মেতে উঠে চকরিয়া শিবির। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। ম্যাচের ২ মিনিট আগে কক্সবাজার শহরের ইনানী দলের সুমাইয়া গোল করে ১-১ গোলে সমতা ফেরায়। রেফারির শেষ বাঁশিতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় ট্রাইবেকারে। পেনাল্টিতে কপাল পুড়ে কক্সবাজারের ইনানী ফুটবল দলের। ৩-২ গোলে জয় পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে চকরিয়ার মাতামুহুরি ফুটবল একাডেমীর মেয়েরা।

ম্যাচে সেরা গোলদাতা হয় ইনানী দলের সুমাইয়া ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয় মাতামুহুরি দলের পুষ্পা। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন শফিউল আলম, মুনিয়া আক্তার, ফরহাদ ও হ্লা হ্লা কিং।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ. এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চকরিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আবছার উদ্দিন, মাহমুদুল করিম মাদু, ফুটবল সম্পাদক হারুন অর রশীদ, আলী রেজা তসলিম ও জেলা ক্রীড়া অফিসার মাঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য সাংবাদিক এম.আর মাহবুব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা সংকটে দুই বছর ঝিমিয়ে ছিল কক্সবাজারের ক্রীড়াঙ্গন। বীচ ফুটবলের মাধ্যমে আবারও সরব হবে ক্রীড়াঙ্গন। খেলাধুলা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয়। হতাশা দূর করে নতুনভাবে এগিয়ে চলার জন্য জীবনে শক্তি যোগায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ. এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বলেন, বিশ্ব পর্যটন শিল্পে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি কক্সবাজারে স্পোর্টস ট্যুরিজম ক্ষেত্র তৈরি করতে পারলে বিশ্বে কক্সবাজার তথা পর্যটন শিল্পকে উপস্থাপন করা যাবে। এ লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন গ্রুপ।

পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।