মাহমুদুল করিম মাহমুদ:
কক্সবাজার জেলার ব্যাণিজিক রাজধানী ও সদ্য ঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলায় এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম আব্দুল আজিজ। তার বাড়ি জালালাবাদ ইউনিয়নস্থ পুর্ব ফরাজী পাড়া গ্রামে৷ বয়স সবে মাত্র আটাশ। এরইমধ্যে নিভে যেতে শুরু করলো তার ফুটন্ত জীবন। কলেজ পড়ুয়া আব্দুল আজিজ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী৷ তিনি জালালাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। গরীব ঘরে জন্ম নেওয়া খুবই পরিশ্রমী ও নম্র স্বভাবের আব্দুল আজিজ ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে। গর্ভধারীনি মা পরিবারের ৪ ছেলে এক মেয়েকে কোলেপিঠে করে মানুষ করার পাশাপাশি খেয়ে না খেয়ে সংসারও চালিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি খুবই অসহায়। কারণ তার আদরের সন্তান আব্দুল আজিজের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণঘাতী ব্লাড ক্যান্সার৷

অসুস্থ আব্দুল আজিজের প্রতিটি নিঃশ্বাস বের হচ্ছে বাঁচার আকুতি জানিয়ে৷ চিকিৎসাধীন আব্দুল আজিজকে কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা ভারতে নিয়ে যাওয়া জন্য রেফার করা হয়৷ আর্থিক অনটনে থাকা তার পরিবার ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত আব্দুল আজিজ কে বাড়িতে নিয়ে আসেন৷ স্থানীয়দের সহযোগিতায়
রাত শেষে পরদিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার মাঝপথে রক্ত বমি করতে করতে ঢাকায় পৌঁছালো৷ ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেও অর্থের অভাবে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হন স্বজনরা। পরে একই এম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা৷ পরিশেষে জোর তদবির ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে এলাকা থেকে যাওয়া মানবিক মানুষদের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে স্থান হয় অসুস্থ আব্দুল আজিজের৷ কিন্তু অর্থাভাবে থাকা আব্দুল আজিজের পরিবার আর কতদিন চালাতে পারবে অসুস্থ এই মেধাবী ছাত্রের চিকিৎসার ভার বহন করতে?

আব্দুল আজিজের চিকিৎসার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহযোগিতার আহবান করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে দেশ ও বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ সহযোগিতা পাঠিয়েছেন৷ দলমত নির্বিশেষে সকলকে অসুস্থ আব্দুল আজিজের পাশে থাকার আকুতি পরিবারের। অসহায় পরিবারের আকুতিতে ছাড়া দিয়ে ঈদগাঁও এক্সিজেন ব্যাংক, ব্লাড ডোনার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মাঠে নেমেছেন৷ বিএনপির কয়েকজন নেতাও আব্দুল আজিজের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন৷ অসুস্থ আব্দুল আজিজের জরুরি রক্তের প্রয়োজন হলে ঈদগাঁও থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে রক্ত দিয়ে অন্যন্য নজির সৃষ্টি করলো ইসলামপুর ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা মোর্শেদ৷ তার সাথে আরো ৩ জন সামাজিক সংগঠনের সদস্য রক্ত দিয়ে ঈদগাঁও পৌঁছলো চট্টগ্রাম থেকে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, জালালাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুল আজিজের অসুস্থতা খবরে জেলা/উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের কোন আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কার্যক্রমে ভাটা কেন? অসুস্থ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আব্দুল আজিজের আর্তনাদ কি প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আ’লীগ সভাপতি-সম্পাদক বা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের কানে পৌঁছবে না?

‘আসুন দলমত নির্বিশেষে ভোটের রাজনীতির মনোভাব থেকে বেরিয়ে মানবতার প্রশ্নে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অসুস্থ আব্দুল আজিজের পাশে দাঁড়ায়- এমনটা আকুতি স্থানীয়দের৷

বিকাশঃ 01638910909 ও 01866911698.