এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চকরিয়া পৌরসভার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৮টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তদমধ্যে উপজেলা প্রশাসন বেশ কটি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁিকপুর্ণ হিসেবে চিহিৃত করেছেন। এসব ভোট কেন্দ্রে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশহিসেবে বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

এদিন চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবস্থিত সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র তথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসা সমুহের বর্তমান পেক্ষাপট সরেজমিনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। এসময় তিনি পরির্দশনপুর্বক ভোট গ্রহনের নিমিত্তে এসব কেন্দ্রগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন। পরিদর্শনকালে ইউএনও’র সঙ্গে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.রাহাত উজ জামান, চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী ছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, মাদরাসার শিক্ষক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে মন্তব্য করে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন ‘সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের তরপে যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে। পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহনের জন্য কেন্দ্রগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করতে সরেজমিন পরিদর্শনপুর্বক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ইতোমধ্যে দুইদফা নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছিলো নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক চলতি বছরের ১১ এপ্রিল এবং পরবর্তী সময়ে ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন।

পরবর্তী সময়ে করোনা দুর্যোগের আশঙ্কা থেকে সারাদেশের অন্য পৌরসভার সঙ্গে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনও স্থগিত হয়ে যায়। দুইমাস পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে স্থগিত পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিনক্ষণ ধার্য্য করে নির্বাচন কমিশন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিন ওয়ার্ডে ১৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯ ওয়ার্ডে ৫৪ জনসহ তিন পদে সর্বমোট ৭২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তন্মধ্যে বাতিল হওয়া, আপীলে ফিরে পাওয়াসহ বর্তমানে মেয়র পদে চারজন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ জনসহ সর্বমোট ৬৮ জন প্রার্থী ভোটে অছেন। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীকও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দি চারপ্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী (নৌকা), নাগরিক কমিটি মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াবুল হক (নারিকেল গাছ), জাতীয় পাটি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নেতা মনোয়ার আলম (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী (কম্পিউটার)।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ভোট দেবেন মোট ৪৮ হাজার ৭২৪ জন ভোটার। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ হাজার ৮৯৯ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ২২ হাজার ৮২৫ জন।#