নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবহন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম (৫২)সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম এডভোকেট তাহের আহমদ সিকদারের (৫২) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানা।

পরে আদালতের (সি.আর মামলা নং-৫৬৫/২১,স্মারক নং-১১০৫/২১) নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করার জন্য সদর থানায় পাঠানো হয়।

মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- সদরের ঝিলংজার ৪ নং ওয়ার্ড উত্তর মুহুরীপাড়ার মৃত কলিম উল্লাহর ছেলে রহিম উল্লাহ (৪০), ৩ নং ওয়ার্ড জানারঘোনার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদুল হক (৪৫), দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত ছাবের আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ও জাবেদ প্রকাশ বার্মাইয়া জাবেদ (২৫)। প্রধান আসামি জহিরুল ইসলাম প্রকাশ কালা জহির ঝিলংজা ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত ফিরোজ আহমদ মুন্সির ছেলে। পালক পিতা জামাল আহমদ।

মামলার বাদি এডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার (৫২) ঝিংলজা ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের মুহুরীপাড়ার মৃত আফতাব উদ্দিন আহমদ সিকদারের ছেলে।

মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে তার মালিকানাধীন চট্টমেট্রো-১১-১০৯০ মিনিবাসটি ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড ষ্টেশন জামে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী ‍উঠাচ্ছিল। এ সময় অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, লিংকরোড় সিএনজি সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক রহিম উল্লাহ, লাইনম্যান মোহাম্মদুল হক ও বার্মাইয়া জাবেদ খুনের উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে তিনি (তাহের আহমদ সিকদার) মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। ঘটনা দেখে স্থানীয় ছৈয়দ আলম এগিয়ে যান। এ সময় তাকেও ব্যাপক মারধর এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা তদের উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের নিকট বুধবার রাত ১২ টার দিকে মুঠোফোনে চানতে চাইলে বলেন, আদালতের আদেশের একটি কপি হাতে পেয়েছি। এখনো রেকর্ড হয় নি। কালকে (বৃহস্পতিবার) দেখব।