সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিমানা ও ভবন নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ উপেক্ষা করে বালুখালী পানবাজারের দক্ষিন পাশে প্রধান সড়কের সংলগ্নে জলাভুমিতে পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধ ভাবে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এর ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল ও পরিবেশবিধদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে জলাভুমি ভরাট করে ফ্রেন্ডশিপ এনজিও প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তারা স্থানীয় কয়েকজন ভুমিদস্যুদের সমন্বয়ে পার্শ্ববর্তী প্রাকৃতিক পাহাড় কেটে মাটি এনে জলাভূমি ভরাট করত তদস্থলে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মানুষের পক্ষে কক্সবাজার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সাংবাদিক পরিষদের কর্মকর্তারা কক্সবাজার পরিবেশ দপ্তরে পাহাড় কাটা ও মাটি পাচারসহ বিভিন্ন চিত্র ছবি সম্মিলিত একটি অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র পরিদর্শক মোঃ মইনুল হক সরেজমিন এ তদন্তকালে দেখতে পান যে উক্ত ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে উক্ত জলাভুমিতে পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে মাটি কেটে পাচার করে ভরাট করত ভবন নির্মাণের সত্যতা প্রমাণ পেয়েছে। এই পর্যায়ে পর্যালোচনা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রায় ১ কোটি ৫০লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

উক্ত ক্ষতিসাধন এর প্রতিবেদনটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মফিদুল ইসলাম আমলে নিয়ে দ্রুতভাবে উক্ত হাসপাতালের নির্মান কাজ বন্ধ এবং দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার জন্য ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের এমডি রুনা খানের বরাবর একটি নোটিশ প্রদান করেন বলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। উক্ত নোটিশ এর ব্যাপারে ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেএকটি নোটিশ পেয়েছেন বলে এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। এইদিকে ফ্রেন্ড শীপ এনজিওর কর্তৃপক্ষরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ উপেক্ষা করে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজ দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।