সংবাদদাতা :

রামুর খুনিয়াপালংয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলায় নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ড পূর্ব ধেছুয়াপালং মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মৃত হাজি জাফর আলমের ছেলে হোসেন আহম্মেদ ও তার ছেলে রাহমত উল্লাহ রহমানিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় সাইফুলের চায়ের দোকানে উপস্থিত লোকজনকে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনা ঘটায়। এসময় আহত হন একই এলাকার মৃত আবদু রশিদ মনুর ছেলে নয়নসহ অনেকে।

এই ঘটনার জের ধরে খুনিয়াপালং পালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়াপালং (মরিচ্যা-তেল হলা রোড) মাদ্রাসা পাড়ায় চলাচলের রাস্তার উপর হোসেন আহম্মেদ ও নয়ন পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন নয়ন, নয়নের মা নুরতাজ বেগম, নয়নের মামা শাহ আব্বাস এবং প্রতিপক্ষ হোসেন আহম্মদ ও তার ছেলে রাহমত উল্লাহ আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা পরস্পর নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে। তবে বিধবা নুরতাজ বেগমকেও বিভিন্ন সময় হোসেন আহম্মেদ উত্যক্ত করার ঘটনা নিয়েও ছেলে নয়ন আগে থেকে ক্ষুদ্ধ ছিল চাচা হোসেন আহম্মেদের উপর।
এদিকে, এই ঘটনাটিকে পূঁজি করে হোসেন আহম্মেদ ও বর্তমান মেম্বার টুনু আরেকজন প্রতিদ্বন্ধি মেম্বার প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাইদেরকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার এবং মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর মিশনে নেমেছে বলে অভিযোগ।
এব্যাপারে খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ বলেন, হোসেন আহম্মদ ও নয়ন পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়। তারা উভয়পক্ষ পরস্পর আত্মীয়। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা এই ঘটনায় জড়িত ছিল না। গিয়াস উদ্দিনেরা যে জড়িত নয়, সে বিষয়ে হোসেন আহম্মদের ভাই কাজি মো. হাসানও আমাকে মোবাইল ফোনে এই কথা জানিয়েছেন। তবে নিরীহ গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারকে মিথ্যাভাবে ঘটনায় জড়িত করার ঘটনা নিয়েও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
আহত নয়নের মা নুরতাজ বেগম বলেন, হোসেন আহম্মদ ও তার ছেলেরা প্রথম এক দফায় চায়ের দোকানে মারধর করে, পরে চলাচলের রাস্তার উপরও দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। এতে তিনিসহ পরিবারের ৫ জন আহত হন।
৪ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সাথে খেলা নিয়ে সামান্য তর্কাতকি হয় শুক্রবার বিকালে। বিষয়টি তখনই সমাধা করা হয়।
কিন্তু আমি স্থানীয় ৪নাম্বার ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষ হোসেন আহম্মেদ আমাকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) রূপম কান্তি চৌধুরী বলেন, উভয় পক্ষের মারামারি ঘটনাটি জেনেছি। কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।