ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা এলাকায় খোদ পিতাই নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়ে। এ ঘটনায় পিতা কামাল হোসেন (৩৫) এর বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ভিকটিমের মা। যার মামলা নং-জি আর ৫৩৩/২১।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
থানার এসআই নাজমুন নাহার খানম মামলাটি তদন্ত করছেন।
এ মামলার একমাত্র আসামি কামাল হোসেনকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডির বাসিন্দা। বর্তমানে পূর্ব কলাতলীর চন্দ্রিমা মাঠ এলাকায় বসবাস করে। পেশায় সে সিএনজি চালক।
অন্যদিকে শনিবার ১৬৪ ধারা মতে মামলার বাদি ও ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করেছেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন।
জবানবন্দী শেষে ভিকটিমকে মায়ের জিম্মায় দেন বিচারক।
মামলার বাদি ভিকটিম কিশোরীর মা জানান, গত ১০ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৩ বছর বয়সী তার প্রথম মেয়েকে ধর্ষণ করে পিতা (বাদির স্বামী) কামাল হোসেন। পরে আরো বেশ কয়েকবার একই ঘটনা ঘটায়। ঘটনা প্রকাশ না করতে মেয়েকে ভয়ভীতি, হুমকিও প্রদান করে।
ইতোমধ্যে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়ে। ঘটনা জানাজানি হলে থানায় মামলা করেন কিশোরীর মা। ভিকটিম মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
বাদি পক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল হালিম জানান, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের মতো লজ্জাজনক ও ঘৃণিত কাজ করলো জন্মদাতা পিতা কামাল হোসেন। এ ঘটনায় আসামি পিতাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতকে বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম ও বাদি।
বিচারক হেলাল উদ্দিন ১৬৪ ধারা মতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।