প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

অগঠনতান্ত্রিক ভাবে নিয়োগ করা ‘ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকে’র ডাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর বিশেষ সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ না করার জন্য ইউনিয়নের সকল সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের কতিপয় সদস্য আমার স্ত্রীর অসুস্থতায় চট্টগ্রামে যাওয়ার সুযোগে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধ উপায়ে আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। যা গঠনতান্ত্রিক ভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ।’

তিনি বলেন, যারা এই সভা ডেকেছেন তাদের এই কার্যক্রম গঠনতান্ত্রিক ভাবে অবৈধ। যারা এই সভায় অংশ নেবেন সেই অংশগ্রহণও অবৈধ। এবং এই সভায় যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাও অবৈধ ও আইনগত ভাবে অপরাধ।

সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেই নিজেদের ইচ্ছা মতো রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত কোন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংবা কোন কর্মকর্তাকে কিংবা কোন সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। এরকম কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে (সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর ধারা-৯ এর উপ-ধারা-২ মতে) প্রথমে ৭ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে হবে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে তখন নির্বাহী পরিষদ অনাধিক ৩ মাসের জন্য সাময়িক বহিস্কার করতে পারে। তারপরও সংশোধন না হলে সাধারণ সভা ডেকে স্থায়ী বহিস্কার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাকে কোন নোটিশ না দিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্যজনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা গঠনতান্ত্রিক ভাবে অবৈধ। দেশের সর্বআদালতে তা অবৈধ।

তিনি শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের একটি হোটেলে ডাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর বিশেষ সাধারণ সভাটি সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ বলে জানিয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন বলেন, দেড়বছর আগে হওয়া ইউনিয়নের নির্বাচনে দু’টি প্যানেলে যারা আমার প্রতিপক্ষ ছিল তারাই প্রতিহিংসামূলক ভাবে অবৈধ উপায়ে আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণের অপচেষ্টা করছেন। যা অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ।

তিনি অবৈধ এই সভায় ইউনিয়নের সম্মানিত সকল সদস্যকে প্রত্যাখ্যান করে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সরকারি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ (সভা-সমাবেশ) প্রত্যাহার হলে নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সাধারণ সভা আহবান করবেন।