সিবিএন ডেস্ক:
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং কেন্দ্রীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিএনপি গঠন করেন। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ।

দলের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ চৌধুরী প্রিন্স জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, হেল্থ ক্যাম্প ও করোনা রোগীদের সহায়তা প্রদান, দেশব্যাপী পোস্টার প্রকাশ করা এবং ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও জানান, বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দেশ ও মানুষের উন্নয়ন এবং বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলকে আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে মনেপ্রাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমান দুঃসময়ে জনগণকে সংগঠিত করার কোনও বিকল্প নেই।’

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্তমূলক মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাকে ২৫ মাস অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখনো নানা শর্তে তিনি বন্দি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার। কারণ তিনিই গণতন্ত্রের প্রতীক এবং জনগণের নাগরিক ও বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে প্রধান কণ্ঠস্বর। পাশাপাশি দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মীরা আত্মদান করেছেন তাদের প্রতিও জানাই আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।’