তালেবানের সময়সীমা মেনে আফগানিস্তান ত্যাগে পশ্চিমা নাগরিকদের দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১০:২৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


মার্কিন ও আফগান যাত্রীদের নিয়ে কাবুল থেকে আকাশে ডানা মেলছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সি-১৭ সামরিক বিমান।

বিবিসি বাংলা: ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বলছে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের সব নাগরিক এবং তাদের সহযোগী বেশিরভাগ আফগানকে সরিয়ে নিতে সমর্থ হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই দুটি দেশ একথা ঘোষণা করলো।

ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেমেন্ত বোন বলছেন, আফগানিস্তানে সে দেশের উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হওয়ার ‘সম্ভাবনা প্রবল’।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের বেশিরভাগকেই ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেইন, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের পাঁচশোরও বেশি নাগরিকদের কাবুল থেকে বের করে আনার জন্য তারা চারটি বৃহদায়তন সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।

রাশিয়া ও তার প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের নিয়ে যেতে অপেক্ষা করছে একটি রুশ সামরিক বিমান।

রাশিয়া ও তার প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের নিয়ে যেতে অপেক্ষা করছে একটি রুশ সামরিক বিমান।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই এই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা প্রয়োজন, কারণ কাবুল বিমানবন্দরের ওপর ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি বাড়ছে।

নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হলে আফগানিস্তানের নতুন শাসক অর্থাৎ তালেবানের কাছ থেকে ক্রমাগত সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ওদিকে, যেসব আফগান নাগরিকের দেশত্যাগের অনুমতিপত্র রয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপদে পৌঁছনো তাদের জন্য আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ছে।

কারণ তালেবান মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, কোন আফগান নাগরিক দেশ ত্যাগ করুক, তারা সেটা চায় না।

কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে দেশত্যাগে মরীয়া আফগানদের ভিড়।

কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে দেশত্যাগে মরীয়া আফগানদের ভিড়।

কাবুল থেকে বিবিসির ইয়োগিতা লিমায়ে খবর দিচ্ছেন, কাবুল বিমানবন্দরে মানুষজনকে দেশ ত্যাগে সহায়তা করছেন এমন লোকজন বলছেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে যাত্রীদের বিভিন্ন তল্লাশি চৌকিতে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে কারা এটা করছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

তিনি জানান, বিমানবন্দরে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর গেট পর্যন্ত পৌঁছুতে গত সপ্তাহে মানুষজনকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলছেন, কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রতি ঘণ্টাতেই যাত্রী-বোঝাই উদ্ধারকারী বিমানের ফ্লাইট আকাশে ডানা মেলছে।

বিমানবন্দরের বাইরে দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন যেসব যাত্রী তাদের খাবার পানি দিচ্ছেন তুরস্কের এক সৈন্য।

বিমানবন্দরের বাইরে দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন যেসব যাত্রী তাদের খাবার পানি দিচ্ছেন তুরস্কের এক সৈন্য।

তবে এখনকার আশঙ্কা হচ্ছে, যাদের রওনা হওয়ার কথা ছিল, তাদের কাউকে কাউকে বাদ দিয়েই ফ্লাইটগুলোকে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দেশত্যাগে সাহায্য করারা লক্ষ্যে তারা ঝুঁকির মুখে থাকা আফগানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।

তবে মাঠের পরিস্থিতি একেবারেই গোলযোগপূর্ণ এবং অনিশ্চিত।