এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.তফিকুল আলম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ ও উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে পুলিশ নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় পুলিশ নিজের জীবন বাজি রেখে নির্বিঘ্নে কাজ করছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে অপরাধ দমনে জন্য প্রয়োজন টেকশই নিরাপত্তা।
রবিবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে চকরিয়া থানা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ হলরুম মিলনায়তনে বিট পুলিশিং কার্যালয় শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এএসপি তফিকুল আলম উপরোক্ত এসব কথা বলেন।
এএসপি আরো বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরাই মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে সেবা পৌঁছে দেবো। মানুষের সমস্যা জানার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা সুনির্দিষ্ট বিট পুলিশিং অফিসার তা নিরসন করবেন। আর এ বিট পুলিশ কার্যক্রমের সেবা নিশ্চিতে এবং এলাকার অপরাধ প্রবণতা নির্মূলে পুলিশ ও জনগণের সহযোগিতার বিকল্প নেই। মানুষকে এখন আগের মতো ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার হতে হবে না। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া শুধু আইন প্রয়োগ করে মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা যাবে না। পুলিশকে পজিটিভলি দেখেন। পুলিশ এখন আগের অবস্থানে নেই, পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মাদক, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং মতো অপরাধ সম্পর্কে তথ্য দিন, পুলিশ আপনাদের পাশে থাকবে। এলাকার চিহ্নিত অপরাধী ব্যাক্তি সম্পর্কিত তথ্য পুলিশকে দেওয়া হলে তথ্য দাতার নাম কোন দিন প্রকাশ করা হবে না। যারা মাদক, চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাসী, দখলবাজি কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া নাছির উদ্দিন নোবেল হত্যাকান্ডে জড়িত বেশকিছু আসামীকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও এই ঘটনায় অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকার জনগণ পুলিশকে আন্তরিক ভাবে সহযোগীতা করলে দেশ থেকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং মতো অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। তবে একেবারেই ক্রাইম ফ্রি সমাজ চিন্তা করা যায় না। কেউ অপরাধ করলে আমরা তা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করছি। পুলিশের সাথে জনতার সম্পর্ক সৃষ্টি হলেই এ সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিংসহ সকল অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছাতে আইজিপির নির্দেশে প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে।
চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক ও সাহারবিল ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এস আই ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিট পুলিশিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইব্রাহিম খলিল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, সংরক্ষিত নারী সদস্য, নয় ওয়ার্ডের ইউপিসদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, অলোচনা সভার পূর্বে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বিট পুলিশিং কার্যালয় ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন এএসপি তফিকুল আলম।