নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরে জেল ফেরত সাজিদ বাহিনীর ছুরিকাঘাতে ৪ জন আহত হয়েছে। তারমধ্যে স্ক্র্যাব ব্যবসায়ী ওমর ফারুক মিন্টুর অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় বাহিনীর প্রধান সাজিদসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় গাড়ির মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার শামশুল আলমের পুত্র ওমর ফারুক মিন্টু দীর্ঘদিন ভাঙারি ব্যবসা করে আসছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সরওয়ারের পুত্র মো. সাজিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মিন্টুকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরও ৩জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় মিন্টুর কাছ থেকে ব্যবসায়ীক কাজের নগদ ৩২ হাজার টাকা ও ২২ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে ব্যবসায়ী মিন্টুর আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মিন্টুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর—উল—গীয়াস। ওইসময় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো—২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সরওয়ার, তার পুত্র মো. সাজিদ, সরওয়ারের স্ত্রী লাকী বেগম ও মরহুম মীর কাশেমের কন্যা মিল্কি বেগম। এছাড়া ঘটনায় জড়িত মরহুম মীর কাশেমের পুত্র জিয়া উদ্দিনসহ আরও ৪—৫ জন পলাতক রয়েছে। ব্যবসায়ী ওমর ফারুক মিন্টুর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল—সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় আহত ওমর ফারুক মিন্টুর পিতা শামশুল আলম বাদী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি
এজাহার দায়ের করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে ওমর ফারুক মিন্টু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সাজিদ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ছিনতাই, লুটপাট ও অপহরণ তার দৈনন্দিন কাজ। সে দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে গত কয়েকদিন আগে জেল থেকে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে এই ঘটনা সংঘঠিত করে। কিভাবে জেল থেকে বেরিয়ে এসে পূণরায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পড়ে।