ডেস্ক নিউজ:

উখিয়ার সোনাইছড়িতে রিদোয়ান হোসেন (২৪) নামের এক যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত রিদোয়ান হোসেন ওই এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে। রোববার (২১ আগস্ট) রাতে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত সৈয়দ কাসেমের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ ওরফে পুতিয়া ও মোহাম্মদ ইউনুচ ওরফে বদাইয়ার সুপারি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে (২২ আগস্ট) দুপুরে উখিয়া থানার আওতাধীন ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহত রিদোয়ান হোসেনের পিতা হোসেন আহমদ অভিযোগ করেছেন, ‘পুর্ব শক্রতার জের ধরে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় মৃত সৈয়দ কাসেমের ছেলে ইউছুপ ওরফে পুতিয়া ও ইউনুচ ওরফে বদাইয়া পরিকল্পিতভাবে পিঠিয়ে হত্যার পর তার সুপারি বাগানে অবৈধভাবে টানা বিদ্যুতের তাঁরে জড়িয়ে রাখে। পরে সকালে সেই বিদ্যুতের তাঁরে জড়িয়ে রিদোয়ান হোসেন মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেকদিন আগে থেকে আমার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ছেলে রিদোয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সঠিক বিচার চায়।’

সত্যতা নিশ্চিত করে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক মো: অলিউর জানান, ‘খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার ক্রু তদন্ত করে জানা যাবে। একারণে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, বৈদ্যুতিক তারের জড়িয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

একই কথা বলেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, উক্ত এলাকার মৃত ছৈয়দ কাসিমের ছেলে একাধিক মামলার আসামী ইউছুপ ওরফে পুতিয়া ও ইউনুচ ওরফে বদাইয়া সুপারি বাগান রক্ষার নামে কভার তাঁর ছাড়া চুরি করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ফাঁদ বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শুকুর শিকার করে আসছিল। রাতে রিদোয়ানকে পিঠিয়ে হত্যা করার পর ওই ফাঁতানো তাঁরে ফেলে রাখে। পরে সকালে বিদ্যুতের তাঁরে জড়িয়ে মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালায়। সকালে সবকটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত ইউনুচ ও ইউছুপ স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় টাকা দিয়ে হত্যা মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার মিশনে নেমেছেন। এজন্য প্রশাসনের সুূ-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছৈয়দ কাসিমের পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দেয়ায় তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে সংযোগ পাওয়া যায়নি।