মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সকল জনবল, টেকনিক্যাল সাপোর্টসহ সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি প্রয়োগ করে হলিডে মোড় হতে পূর্বদিকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা ব্রীজ পর্যন্ত প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজ করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চলাচলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাগবের বিষয় চিন্তা করে কউক এ উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এ অংশের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করার টার্গেট করা হয়েছে।

প্রধান সড়কের উভয়পার্শ্বের ভবন, মার্কেট ও দালানের মালিকগণ বুধবার ১৮ আগস্ট কউক এর সম্মেলন কক্ষে কউক চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ (এলডিএমসি, পিএসসি) এর সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কউক চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ আরো বলেন, জনস্বার্থে জনগণের রাস্তার উন্নয়ন করছি। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম ক্ষতি করে এ উন্নয়ন কাজ করা হবেনা। প্রধান সড়কের উল্লেখিত অংশে প্রশস্ত জায়গা থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ যতদূর সম্ভব উন্নয়ন করা হচ্ছে। আর যেখানে কম জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, প্রশস্ততা অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ, সেখানে কমপক্ষে ৪২ ফুট সড়ক উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, আইনের প্রয়োগ নয়, সবার সহযোগিতা নিয়ে প্রধান সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে। এজন্য তিনি দলমত, সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজে কোন কারণে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জমি অন্তর্ভুক্ত হলে সেসব জমির অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ভবন, মার্কেট ও দালানের মালিকগণকে জানান-কউক চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে, কউক এর অথরাইজড অফিসার রিশাদ উন নবী, সহকারী পরিচালক রুস্তম উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াসিফুল ইসলাম, মার্কেট সুপার শাহরিয়ার মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, প্রধান সড়কের উভয়পার্শ্বের ভবন, মার্কেট ও দালানের মালিকগণের পক্ষে রাশেদ মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট আবদুর রহমান, জানে আলম, শাহ আলম, এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, মোহাম্মদ ফেরদৌস, নাসির উদ্দিন, আহমদ উল্লাহ, আমান উল্লাহ, ইয়াসির পারভেজ, আজিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, প্রধান সড়কের উল্লেখিত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই) এর পিএম মোহাম্মদ রাজু জানিয়েছেন, চলতি বছরের নভেম্বর মধ্যেই রুমালিয়ার ছরা (পিটি স্কুল), চৌধুরী ভবন এলাকা, তারাবনিয়ার ছরা, কালুর দোকান অংশের কাজ শেষ করা হবে। এসময়ের মধ্যে উল্লেখিত অংশে সুদৃশ্য, নান্দনিক সড়ক চলাচলের জন্য দৃশ্যমান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।