সংবাদদাতা:
‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ এ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ বেতার,কক্সবাজার কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৬ তম শাহদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল।
১৫ আগস্ট দুপুরে বেতারের সন্মেলন কক্ষে এ শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজারের বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আমানুর রহমান খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রকৌশলী, উপ-আঞ্চলিক পরিচালক,সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রোজিনা আক্তার রোজী।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে শোক-সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বরণ সভায় সহকারী বেতার প্রকৌশলী মেহেরাজ আহমেদ,বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন দিয়ে এদেশের মানুষকে একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড ও একটি পতাকা দিয়েছেন।’
স্বাধীনতা যুদ্ধে এ-দেশের মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ক্ষমতার কথা স্মরণ করে উপ-আঞ্চলিক পরিচালক সমীর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ব্রিটিশদের ডিভাইড এন্ড রুল নীতি এবং পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠীর অন্ধ ধর্মীয় নীতিকে সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে একটি সংকর জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং এদেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু যে আজীবন সংগ্রাম করেছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য দেন আঞ্চলিক প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। এই ভাষণ শুনে গর্জে ওঠেছিল বাঙ্গালী।
এ বছরের জাতীয় শোক দিবসের যে প্রতিপাদ্য, তা অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত উল্লেখ করে আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ আমানুর রহমান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথই এ দেশের মানুষের মুক্তির পথ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসীন।’
” স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হবে যখনই বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।” যোগ করেন আমানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তব্য দেন- বেতারের সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, উপস্থাপক শামিম আক্তার, দীপক বড়ুয়া দীপু প্রমুখ।