মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা জহিরুল হাসান হত্যার পর থেকে খুনের অন্যতম আসামী আমান উল্লাহ ওরফে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন। ২০১২ সালে কাঞ্চনার বকশিরখিলে গুলি করে আর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় যুবলীগ নেতা জহিরুল হাসান ওরফে হাসানকে। আমান কখনো ঢাকা, আবার কখনো চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তারপর শেষ রক্ষা হয়নি আমানের। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে পড়তে হয়েছে তাকে, ধরা পড়েছেন আমান। ১৩ আগস্ট শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে থানার সহকারী-উপ পরিদর্শক নাজমুল হাসান তাকে কাঞ্চনার বকশিরখিলের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি ওই এলাকার সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ নুরুল ইসলামের ছেলে।
উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান বলেন, হত্যা মামলাসহ আরো দুটি জিআর-ননজিআর মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে দীর্ঘদিন তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি নজরদারি ছিল। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে পৃথক দুটি অভিযানে আরো দুই পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানার উপ-পরিদর্শক রমজান আলী চরতীর দুরদুরি ১ নম্বর ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে মারামারির মামলায় পরোয়ানাভুক্ত মো. হাবিবুল্লাহ (২৫) এবং ধর্মপুর চৌধুরী পাড়া থেকে পরোয়ানাভুক্ত মো. রিফাত (৩০) কে সহকারী উপ-পরিদর্শক দীপক চন্দ্র ধর গ্রেপ্তার করেন।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, পৃথক তিনটি অভিযানে একজন হত্যা মামলার আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।