প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। এতে করে উপকূলীয় অঞ্চল গুলো বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে সারাদেশে।

কক্সবাজার সৈকতের বিগত ১০ বছরের চিত্র ও বর্তমান চিত্র ভিন্ন। এই সৈকতটিও দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। সৈকতের বেশ কিছু নিচু স্থান ও বালিয়াড়ি ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু অংশে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। একদিকে অরক্ষিত এই সৈকত অন্যদিকে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাগর তীরবর্তী পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ইতোমধ্যে বিলীন হওয়ার পথে।

অন্যদিকে বালিয়াড়িকে আকড়ে ধরে থাকা ঝাউগাছগুলোও দিন দিন উপচে পড়ছে। সৈকত তীরবর্তী নুনিয়ারছড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া ও নাজিরারটেক এলাকা গুলো এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাগরের পানিতে মিশে যাবে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তখন এই এলাকার মানুষগুলো হয়ে যাবে বাস্তুচ্যুত। মাথা গুজানোর ঠাঁই হবে এতো লোকের সে জায়গা খুঁজে বের করাও তাদের কাছে হয়ে পড়বে চ্যালেঞ্জিং। পর্যটনখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই সৈকত নিয়ে তেমন নেই পদক্ষেপ। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের লোকদের এখনই তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কক্সবাজার সৈকত নিয়ে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারলে এই সম্পদ হারাবে বাংলাদেশ। কর্মহীন, বেকারত্ব সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সহ সকল স্থরের লোকদের। কারণ এই শহরের অধিকাংশ মানুষ এই সৈকতকে ঘিরে চালায় তাদের সংসার। দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই সৈকত। এক মহা সংকটের মধ্যে কক্সবাজার সৈকত। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যানার ফেস্টুন ব্যতিত চোখ বন্ধ করে ভিন্নধর্মী এক নীরব প্রতিবাদ করেছে কক্সবাজারের তরুণদের নিয়ে গঠিত জলবায়ু ও পরিবেশ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ক্যান। সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির প্রায় ৩০ জন যুব উপস্থিত ছিলেন।