ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
মোঃ মোস্তফা (২৪)। পিতা আবুল হাসেম। টেকনাফের হোয়াইক্যং ২ নং ওয়ার্ডের বিজিবি চেকপোস্ট এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (১১ আগষ্ট) রাত সোয়া দশটার দিকে পাচারের উদ্দেশ্যে ১৯ প্যাকেট ইয়াবা খেয়ে পাকস্থলীতে ভরেন। কিন্তু রওনা দেওয়ার আগেই ঘটে গেল বিপত্তি। তিনি তীব্র অসুস্থতাবোধ করেন। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ‘মৃত’ ঘোষণা দেন।

টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার জন্য ইয়াবাগুলো সেবন করেছিল মোঃ মোস্তফা।

স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, মোঃ মোস্তফা ইয়াবা খেয়ে গুরুতর অসুস্থবোধ করলে তার মা আনোয়ারা বেগম তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।  পাকস্থলী থেকে একেএকে ১২ টি ইয়াবার প্যাকেট (প্রতি প্যাকেটে ৪০ পিস) বের করা হয়। বাকী ৭ টি প্যাকেট পাকস্থলীতেই রয়ে যায়, যা ফেটে যাওয়ায় বের করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তিতে তাকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময়েই তিনি মারা যান।

লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তকালে মোঃ মোস্তফার পাকস্থলীতে সুরক্ষিত অবস্থায় ৫টি প্যাকেট পাওয়া গেছে, যার প্রতি প্যাকেটে ৫০টি করে ইয়াবা ছিল। প্যাকেটগুলো পলিথিন এবং প্লাস্টিকে মুড়ানো পাওয়া যায়। পেটের ভেতর আরো ৩ প্যাকেট মতো ইয়াবা গলে গেছে। মূলতঃ ইয়াবার বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

মা আনোয়ারা বেগমের বরাত দিয়ে ডা. আশিকুর রহমান জানান, ছেলে মোঃ মোস্তফা ইয়াবা সেবনের পরে প্রথমে বাড়িতে কবিরাজ আনে। ওখানে ১২ প্যাকেট বের করে। বিষক্রিয়ায় গড়াগড়ি করায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রায় মৃত্যুশয্যায় জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়।

দুষ্টুচক্রের পাল্লায় পড়ে মোঃ মোস্তফা বিপথগামী হয় বলে জানিয়েছেন মা আনোয়ারা বেগম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবদুল আলীম কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে বলেন, ঘটনার বিষয়ে কেউ তথ্য দেয় নি। অভিযোগও করেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।