সিবিএন :

মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তার উপহারসামগ্রী পেয়ে হাসি ফুটেছে কক্সবাজারের হতদরিদ্র মানুষের মুখে। কষ্ট ছাড়া বসুন্ধরার উপহার সামগ্রী পেয়ে উপকারভোগীরা বলছেন মহামারীর কঠিন এই সময়ের অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় আমাদের বিপদের বন্ধু হয়ে পেটের খবর নিয়েছে বসুন্ধরা।

বুধবার (১১ আগস্ট) কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে ৬০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ বৃহষ্পতিবার বিতরণ করা হবে আরো ৯০০ পরিবারকে। প্রত্যেকটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি বসুন্ধারা আটা, ৩ কেজি মসুর ডাল বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণের সময় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহেরা প্রমুখ।

খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বৈশি^ক এই মহামারীতে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বসুন্ধরা প্রুপ’। সারাদেশে দুই লাখ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা বিতরণের ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান।’

চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এমন যুগ চলে এসেছে যেখানে ছেলে মা-বাবাকে খাবার দেয় না। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় জন্মদাতাদের সেখানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহযোগিতা আমার ইউনিয়নের মানুষ কখনো ভুলতে পারবে না। আমরা এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আরো উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবো।

মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে গরীব-দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আজ যাদের ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে তারা দিনে এনে দিনে খায়। কাজ করতে না পারলে অনাহারে মরে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনে গরীব মানুষগুলো বাইরে কাজ করতে যেতে না পারায় খুব কষ্টে পড়ে গেছে। এমতাবস্থায় বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।

সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমদ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ যেমন বিরাট শিল্পপ্রতিষ্ঠান তেমন তাদের কার্যক্রমগুলোও মানবিক এবং হৃদয় নাড়া দেয়ার মতো। তারা সারাদেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে মানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে তা সারাজীবন মনে রাখবে মানুষ। দেশে আরো অনেক বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু বসুন্ধরার মতো সারাদেশের গরীব অসহায় মানুষের খোঁজ নিতে তাদের দেখিনি। অনাহারীর মুখে আহার তুলে দিয়ে বসুন্ধরা সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ করছে। বসুন্ধরার বিভিন্ন মানবিক সহায়তা এদেশের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।

খাদ্য বিতরণের সময় কক্সবাজার শুভ সংঘের সভাপতি রাজিব দেব দাশ, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাইফুল আদর, শুভ সংঘের অন্যতম উপদেষ্টা দীপক শর্মা দীপু, শুভসংঘের সদস্য ইল্লু বড়–য়া,জয় চক্রবর্তী, দুর্জয় বড়–য়া, মিশু দাশ গুপ্ত, সুস্মিতা বিশ^াস, আস্মিতা বিশ^াস ও পুজা ঘোষ সহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।