স্পোর্টস ডেস্ক: বিচ্ছেদের অনলে পুড়ছেন লিওনেল মেসি। সে অনল নিভিয়ে দিতে কাঁদলেন অঝোরে। তবুও তা নিভছে না। প্রিয় ক্লাবের জার্সি পড়ে আর খেলবেন না, ক্যাম্পে ন্যুয়ে আর থাকা হচ্ছে না – এসব ভাবতেই পারছেন না মেসি।

কিন্তু বাস্তবতাকে মেনেই নিতে হবে। চুক্তি নবায়ন হয়নি। কাতালানদের ছেড়ে ক্যারিয়ার গড়তে হবে অন্য কোথাও। পিএসজির কথা বলা হলেও এখনও তা নিশ্চিত নয়।

বার্সেলোনার নু ক্যাম্পে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে রোববার এসে সে কথাই জানালেন কাঁদতে কাঁদতে। বললেন, এখন যখন বাড়ি ফিরব, আরও খারাপ লাগবে।

পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অপেক্ষায় ছিল, বিদায়ী বার্তা কী বলেন মেসি? প্রিয় ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার আগে আবেগে কেমন আপ্লুত হন তিনি! কথা বলতে পারবেন তো!

ঠিক তেমনটাই ঘটল। প্রেস কনফারেন্স রুমে ঢুকে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে আর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না মেসি। অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন। কথাই বলতে পারলেন না অনেকক্ষণ। এতোই কাঁদলেন যে স্বামীর আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে এগিয়ে আসলেন স্ত্রী আন্তেনেল্লো রোকুজ্জো। টিস্যু এগিয়ে দিলেন চোখ-নাক মুছতে।

অনেকক্ষণ পর কথা বলতে পারলেন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা বললেন, ‘বার্সা ছেড়ে চলে যাওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন’।

মেসি বললেন, ‘কোনোরকম সন্দেহ নেই যে এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। ক্যারিয়ারে অনেক কঠিন মূহূর্ত এসেছে, অনেক ম্যাচে হেরেছি, কিন্তু ওসবের পর অনুশীলনে ফেরার, জবাব দেওয়ার সুযোগ থাকে। এই মুহূর্তের পাল্টা জবাব দেওয়ার কিছু নেই। এই ক্লাবে আমার সময় শেষ। অবশ্যই এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত।’

তেমনটাই স্বাভাবিক। সেই ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনের বার্সেলোনায় পা রেখেছিলেন মেসি। বেড়ে ওঠা তার বার্সাতেই। ক্লাবটির হয়ে গড়েছেন অসংখ্য কীর্তি, জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা। সেই বার্সেলোনাকে যে বিদায় বলতে হচ্ছে তার।

মেসির কান্নায় সংবাদ সম্মেলনে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকদের চোখেও জল এসে গেছে অজান্তেই।