অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যা ১১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) অধক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা রাখা যাবে। সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।

খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যে কোনে প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ কতটুকু শিথিল করা হবে তা আজ বা কালকের মধ্যে জানানো হবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ ধাপে ধাপে শিথিল করা। কোনটি কখন খোলা হবে, কতটুকু পরিসরে খোলা হবে- সেটা বিবেচনা করে দেখতে হবে। কেননা, সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু এখনও কমেনি।

গণটিকা কার্যক্রমে প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সবজি ব্যবসায়ী, রিকশাচালক; যাদের বাইরে আসতে হয়, বিভিন্ন কারণে যেসব মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয় তাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাও আছেন। আমাদের জীবিকাও নিশ্চিত করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ও নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কঠোরভাবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন হয় সেদিকে নজর থাকবে।