গত ৬ আগষ্ট দৈনিক কক্সবাজার এ সদর উপজেলা খুরুশকুল ইউনিয়নে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাওলানা আমান উল্লাহ গংদের ওয়ারিশি মালিকানাধীন জমির দখল সংক্রান্ত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা একতরফা তথ্যের ভিক্তিতে মিথ্যা, অসত্য ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত । দুঃখজনক বিষয় হলেও সত্য উক্ত রিপোট টি করার সময় আমি ও আমার পরিবারের বক্তব্যে নিয়ে রিপোট করার প্রয়োজন ছিলো। প্রকৃত সত্য হলো যে আরএস খতিয়ান-৪০১,১৮৬৯,১৮৭৭,১৮৭৮ নং খতিয়ানের মুল মালিক হয়তে একাধিক সাব কবলা মূলে মাওলানা গোলাম কুদ্দুস প্রাপ্ত হন। মাওলানা গোলাম কুদ্দুস খরিত মূলে মালিক হইয়া নিজের নামে বিএস -৮৮৮,১৬১১,১৩১,৩০৬ বিএস জরিপের সময় চুড়ান্তভাবে খতিয়ান লিপি হয়। মাওলানা গোলাম কুদ্দুস ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় ০৯/০৩/১৯৯৭ ও ১৫/০৩/১৯৯৭ সনে ৫৬৩ ও ৬১৯ নং কবলা মূলে ১একর ৭৩ শতক জমি আমার পিতা মোহাম্মদ নূর কোম্পানি,আমার স্বামী ডা:শাহাব উদ্দিন সহ অপরাপর আমার আত্মীয় স্বজনকে বিক্রি করে দখল বুঝিয়া দিয়াছেন।

মাওলানা আমান উল্লাহ ও মাওলানা সাইফুল হক গং এর সকল আত্মীয় স্বজন বিক্রি করিয়া নিঃস্বার্থবান হয়। মাওলানা গোলাম কুদ্দুস সরকারি বিধি মোতাবেক খাজনা প্রদান করিয়া দীর্ঘদিন দখলে থাকা অবস্থায় আমার পরিবারকে বিক্রি করিয়া দিয়েছেন। আমার পরিবার খরিত করিয়া নিজের নামে নামজারি করিয়াছেন, যাহার খতিয়ান নাম্বার ৭১৬৮।

উক্ত জমি হতে আমাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য বিগত ২৯/০১/২০০২ ইং তারিখ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাড়ি,রাইচমিল,মার্কেটে আমান উল্লাহ গং হামলা করিয়া লুটপাট করিয়া যাওয়ার সময় আমার মামা আজিজুল হক বাধা প্রদান করিলে তাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের বিরুদ্ধে এসটি-১০৫/২০০২ইং (হত্যা) ও এসপিটি-১৩৩/২০০৪বিস্ফোরক মামলা করা হয়, উক্ত মামলা কক্সবাজার জজ আদালতে বিচারাধীন।
তৎসময়ে খুরুশকুল ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল হক আমান এর নেতৃত্বে মরহুম কাশেম মিয়ান, ও আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যান সহ খুরুশকুলের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় একটি শালিশী বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে আইনজীবির মাধ্যমে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করিয়া,খুরুশকুল মৌজা বিএস-১১০৪৩,১১০৪৪,১১০৪৫,১১০৪৬ সহ অপরাপর ১একর ৭৩ শতক জমি আমরা পাবো বলে বিচারকারীগণ তাদের স্বাক্ষরিত লিখিত রায় ঘোষনা করেন।

আমার বাবা দেশের আয়কর প্রদানকারী দেশের স্থানীয় একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী,আমার ছোট ভাই এডভোকেট এম সাইফুল্লাহ নূর কক্সবাজার আদালত বারের সদস্য, আমার স্বামী একজন চিকিংসক, আমি খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান -২,। হত্যা,চুরি,ডাকাতিসহ অসংখ্যা মামলার আসামীগণ কি করে আমাদের সন্ত্রাসী বলে ?

যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান অতিতের ন্যায় উক্ত জমির বিষয়ে কাগজপত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে এর সমাধান দেওয়ার জন্য বৈঠক বা বিচারের আয়োজন করলে আমি ও আমার পরিবার সমাধানের পক্ষে অংশগ্রহন করবো । আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সকলের প্রতি অনুরোধ করিতেছি।

প্রতিবাদকারী
বুলবুল আক্তার
প্যানেল চেয়ারম্যান -২
খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ।