সংবাদদাতা:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার গণটিকা কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভীড় জমে। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা বেশী থাকায় অনেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফেরত গেছেন।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

এদিন উপজেলার আট ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৩৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। প্রতি কেন্দ্রে ৬০০ জন এ টিকার আওতায় এসেছেন। তবে কুতুবজোম ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে ৫৮০ জনকে।

সরেজমিনে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভ্যাকসিন নিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তৃনমূলে এ কার্যক্রম চালু করায় সাধারণ মানুষও বেশ উৎফুল্ল। অন্যান্য ইউনিয়নগুলোর চিত্রও একই।

টিকা নিতে আসা কালারমারছড়া নাপিতপাড়ার রাখাল চন্দ্র শীল (৪১) বলেন, ৯ ধরে পানের ব্যবসা করছি।
শুক্রবার আবেদন করে শনিবার সকাল ১০টায় টিকা নিয়েছি। আমি খুব খুশি। আমার স্ত্রী বেবী রাণী শীলও টিকা নিয়েছেন । এছাড়া ভাই ও তার স্ত্রী টিকা পেতে আবেদন করেছেন।

মিজ্জিরপাড়ার বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আনছারুল করিম (৩৫) বলেন, দিন দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভ্যাকসিন নিয়ে সুরক্ষিত থাকতে চাই। জনগণের দোরগোড়ায় টিকা পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

এদিন মাতারবাড়ি কেন্দ্রে টিকা নিতে এসেছিলেন উত্তর রাজঘাটের সাবের আহমদও। তিনি কেন্দ্রে আসার আগেই শেষ হয়ে যায় ভ্যাকসিন। এ কারণে ৬৫ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ না পেয়ে বাড়িতে ফেরত যান। তবে হতাশ নন। তিনি বলেন, আগামী ১৪ আগস্টে টিকা নেবেন। সরকারের আন্তরিকতায় তিনি খুশি।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.
ইসমত আরা বেগম বলেন, এ ইউনিয়নে তার তত্ত্বাবধানে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে দুটি বুথে ২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যকর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, মানুষ উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে চায় না। গ্রাম পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম চালুর ফলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, কালারমারছড়ায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বাস। এ ইউনিয়নে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ হাজার মানুষ । বরাদ্দ দেয়া ৬০০ টিকা মুহুর্তেই শেষ হয়ে যায়। আগামীতে আরো বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে টিকা কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল মো. জাহেদুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। তাঁরা উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং সকলকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ দেন।