আল মাহমুদ ভূট্টো, রামু:
সারাদেশব্যপী ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রমে রামুর প্রত্যেক কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কোভিড মোকাবেলায় সিনোফার্মের টিকাদানের প্রথমদিনে উপজেলার ১১ টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭ শত টিকা প্রদান করা হয় বলে জানা যায়। বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা
সারা দেশের ন্যায় শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে রামুতে ভারী বৃষ্টি। আর সে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শত শত মানুষ টিকা কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে, রামুতে ১১ টি ইউনিয়নের ১১ টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিলসার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, সহকারী কমিশনার ভূমি রিগ্যান চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ টিকা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, প্রথমদিকে প্রত্যেক ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে টিকাদান চলছে। অসংখ্য মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকলকেই টিকার আওতায় আনা হবে।
রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা নিতে আসা গুরা মিয়া জানান, টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছে কিন্তু টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় টিকা দিতে পারিনি। আবার কখন টিকা দিবে তাও জানি না।
এই টিকাদান কেন্দ্রের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, প্রতিটি ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের জন্য ৬০০ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করেই হাজারখানেক মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। মানুষের উপস্থিতি দেখে আমরা আরো ১০০ অতিরিক্ত টিকা আনিয়েছি।
এদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে সিনোফার্মের কভিড টিকাদান কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া রয়েছে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক খালেদ শহীদ। এই কার্যক্রম বৃদ্ধি করা গেলে দেশের সকল জনগণকে টিকার আওতায় আনা যাবে যোগ করেন তিনি।