নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে করোনা প্রতিরোধক গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার পৌরসভার ১২ ওয়ার্ডের ১২টিসহ জেলার ৯ উপজেলার ৭২ ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার ২২৮টি বুথে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়। প্রতিটি বুথে টিকা পেয়েছেন ২০০জন করে।
প্রচন্ড বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত মানুষ টিকা নিতে আসতে দেখা যায়। পুরো জেলায় একদিনে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষকে টিকা প্রদান করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শনিবার সকালে নুনিয়ারছড়া এয়ারপোর্ট পাবলিক হাই স্কুলে টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
এদিকে পরবর্তী ৭ দিন বিরতি দিয়ে এ কার্যক্রম ১৪ আগস্ট আবারও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিকুল আলম ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী হাসান বক্তব্য রাখেন।
কক্সবাজার পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক শামিম আকতারের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে
সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝরে পড়ছে অনেক তাজা প্রাণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা।’ এটি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান নগর পিতা। ১৪ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবে জানিয়ে করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ঘরে থাকা এবং বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও মাস্ক ব্যবহার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান-পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবানও জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।
এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ শাহেনা আক্তার পাখি, কাউন্সিলর মিজানুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে প্রথমদিন দুই হাজার ৪০০ মানুষকে টিকা দেয়া হয়। টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যাদের সমন্বয়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মইন উদ্দীন ও শহর ছাত্রলীগ নেতা হাসান তারেক।