সিবিএন ডেস্ক:
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। সাভার থানায় দায়ের করা ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে শিগগির। মামলার বাদী পরীমণি ও ঘটনার সাক্ষী তার সঙ্গীদের বক্তব্যে গরমিল পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ী নাসিরের অভিযোগ, বোটক্লাবে ওইদিন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন পরীমণি।

গত ৯ জুন মধ্যরাতে, তুরাগ পাড়ের ঢাকা বোট ক্লাবে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় নায়িকা পরীমণি ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের মধ্যে। ঘটনার চারদিন পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেকে ধর্ষণচেষ্টার ভুক্তভোগী উল্লেখ করে বিচার চান পরীমণি। পরে তার বনানীর বাসায় পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন মাহমুদ ও অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন এই নায়িকা।

মাস দেড়েক তদন্তের পর ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ওইদিন রাতে বনানীর বাসা থেকে মদ্যপ অবস্থায় বোট ক্লাবে যান পরীমণি। ক্লাবে বেশ কিছুক্ষণ মদ খাওয়ার পর নিয়ে যেতে চান দামি কিছু মদের বোতল।

কিন্তু, বাধ সাধেন ক্লাবের প্রভাবশালী সদস্য ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এ সময় নাসির উদ্দীনও মদ্যপ ছিলেন। এক পর্যায়ে পরীমণিকে দুইবার চড় মারেন তিনি। ঘটনার দিন পরীমণির সাথে ছিলেন ব্যবসায়ী অমি, পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমি ও বনি নামে এক নারী। তবে তাদের সাথে পরীমণির বক্তব্যের মিল পায়নি পুলিশ।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন মাহমুদ বলেন, মদ খাওয়ার একপর্যায়ে সে বাইরে যে তাক থাকে সেখান থেকে তিন লিটারের একটি গোল্ড ল্যাবেলের বোতল নিয়ে যেতে চায়। আমাদের ওয়েটাররা তাকে বাধা দিলে সে গ্লাস-প্লেট ছুঁড়ে মারে, ওদেরকে গালিগালাজ করে। তারা আমার কাছে সাহায্য চাইতে আসলে সে আমাকে গালিগালাজ করে, একপর্যায়ে আমার গায়ে গ্লাস ছুঁড়ে মারে।

স্পর্শকাতর মামলা হওয়ায় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ঢাকা জেলা পুলিশ কিংবা সাভার থানার কোনো কর্মকর্তা। তবে, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ হতে নাসির উদ্দীন মাহমুদকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।