ঝিলংজার বাংলাবাজার ও ডিকপাড়ার একশো পরিবার পেল ত্রাণ সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে রওশন ফাতেমা ফাউন্ডেশন রওফা।
শুক্রবার বিকেলে ঝিলংজা ইউনিয়নে বাংলা বাজারের মুক্তারকুল গ্রামে এ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়।
রওফা ফাউন্ডেশন এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের যৌথ উদ্যাগে অসহায় এসব মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় চাল ডাল আলু সহ নিত্যপ্রয়োজনী পন্য। দূর্ভোগ এবং করোনার এই মাহামারীর সময়ে সাহায্য পেয়ে খুশি গ্রামের মানুষ।
ত্রাণ নিয়ে আসা তারেকা বেগম জানান, বন্যায় ৫ দিন পানিবন্ধি ছিলাম। ঘরের চুলায় আগুন জ্বলেনি এই পাঁচ দিন। এখন পানি নেমে গেছে চাল, ডাল আলু পেয়েছি। এসব নিয়ে চার সদস্যদের পরিবার অন্তত ৩ দিন চলতে পারবো।

এলাকার ওবাইদুল কাদের জানান, সরকারীভাবে চিড়া, গুড় আর মুড়ি পেয়েছি। এই প্রথম চাল ডাল পেলাম। এতদিন ধার দেনা করে আমাদের চলতে হয়েছে। বন্যায় ঘরে পানি উঠেছে। ঘরের সবকিছুই শেষ।

এদিকে রওশন ফাতেমা ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষের কল্যানে দীর্ঘ দিন ধরে কার করে আসছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়াতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রওফা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেঁজুতি তৌফিক। তিনি বলেন, সম্প্রতি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহাসহ শহরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যানে কাজ করছে সংগঠনটি।
ভবিষ্যতে রওফা ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিষ্টানটির চেয়ারম্যান সেঁজুতি তৌফিক।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের বন্যায় তাঁর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের অসহায় এসব পাশের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

বাংলাবাজারে মুক্তারকুল এবং ডিকপাড়া গ্রামের একশো মানুষের কাছে পৌঁছে হলো এই ত্রাণ সহায়তা। এই ধরনের মানবিক কাছে সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই রওশন ফাতেমা ফাউন্ডেশন এমনটি জানালেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।