আল মাহমুদ ভূট্টো, রামু:
প্রতিদিনই রামুতে আটক হচ্ছে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক উদ্বাস্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। শুক্রবার (০৬ আগষ্ট) রামু উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে রামুতে গত একমাসে মোট ৪৭৫ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার আটকের ৪১ জনের মধ্যে উপজেলার রশিদনগর থেকে ১০ জন, জোয়ারিয়ানালা থেকে ১০ জন ও রামু বাইপাস ফুটবল চত্বর থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়।
আগেরদিন বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) রামু উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৬৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
আগের দিন বুধবার ৪৮ জন, ৩ আগস্ট মঙ্গলবার ৩৩জন সহ গত ৩১ দিনে রামু উপজেলায় মোট ৪৭৫ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর জরিমানা করে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে রামুর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে, সেখানে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত গ্রাম পুলিশরা স্থানীয় হওয়ায় সহজে রোহিঙ্গাদের চিনতে পারছেন এবং আটক করছেন। প্রায় প্রতিদিনই রামুতে রোহিঙ্গারা আটক হচ্ছেন, এটা স্থানীয়দের জন্য হুমকি।
স্থানীয় সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হলেও, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে স্থানীয়দের জন্য বিষফোঁড়ায় পরিনত হয়েছে এই জনগোষ্ঠী। ক্যাম্প এলাকাগুলোতে গত কয়েকমাস ধরে রোহিঙ্গাদের হাতে অনেক স্থানীয় খুন হয়েছে। এমন ভয়াভয় পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে পালানোয় স্থানীয়দের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ছে। এসব রোহিঙ্গারা এখন নানারকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াচ্ছে। আবার অল্প টাকায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে ভয়ঙ্কর কাজ করে যাচ্ছে।
ধরাপড়া রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, শ্রম বিক্রির জন্য কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে তারা ক্যাম্পের বাইরে চলে আসে।