মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,
নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫ ইউনিয়নে টিকা দেবার কথা ৩ হাজার লোকের। তবে নেটওয়ার্ক সমস্যা কারণে এদের মধ্য থেকে
৩ ইউনিয়নের ১৮০০ লোক টিকা দিতে পারবে না। তাদেরকে ৭ আগষ্ট শনিবার তালিকা করেই টিকা দেয়া হবে। তারা পরের দিন গুলোতে উপজেলা সদরে নেটে এসেই রেজিষ্ট্রেশন করানো হবে ।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের প্রধান ডা: এ জেট এম ছলিম।
তিনি বলেন, উপজেলায় ইউনিয়ন রয়েছে ৫ টি। তন্মধ্যে নেটওয়ার্ক নেই ৩ ইউনিয়নে। এ তিন ইউনিয়ন হলো ঘুমধম সোনাইছড়ি ও দৌছড়ি। সদর ও বাইশারী ইউনিয়নে ৬০০ করে ১২০০ জনকেই রেজিষ্ট্রেশন করে টিকা দেয়া হবে আজ শনিবার। এভাবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে টিকা দেয়ার।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, ইউনিয়নের ১ নম্বর (পুরোনো) ওয়ার্ড়ের ৬ শত লোককে টিকা দিকে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। শনিবার শুধু টিকা দেবেন তারা।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যনিং মার্মা বলেন, তার ইউনিয়নে নেট নেই। তালিকা করেই তার ইউনিয়নের ৬ শত বাসিন্দাকে করোনার টিকা দেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,সরকারের সিদ্ধান্ত মতে প্রতি ইউনিয়নে ৩ টি করে ওয়ার্ড চিহ্নিত করে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় শনিবার।
সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বরত সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, ‘ভ্যাকসিনের ডোজের স্বল্পতার কারণে ৭ থেকে ১২ আগস্টের টিকাদান কর্মসূচির সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রাক-নিবন্ধনের ভিত্তিতে প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ‘মানুষ অন-স্পট নিবন্ধন করে তাৎক্ষণিকভাবে এ ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে পারবেন।’
এ ছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তাদের এলাকার মানুষের কাছে টোকেন দিতে পারবেন, যে টোকেনটি দেখিয়ে তারা নির্দিষ্ট এ দিন ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে যাতে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।