বার্তা পরিবেশক:
ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল খতিয়ান সৃজন ও উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে উখিয়ার থাইংখালীতে রাতের অন্ধকারে জমি দখল ও নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন মামলা নং-১৫১৩/২০২০ মূলে গত ৩ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন জমির মালিক সুলতান আহমদ।

আদালতের আদেশ ও অভিযোগের রিসিভ কপি প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত।

এতে অভিযুক্তরা হলেন-থাইংখালীর মৃত মৌলভী মুক্তার জলিলের ছেলে ফখর উদ্দিন, মিসবাহ উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, পশ্চিম থাইংখালীর মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে দানু মিয়া, মমতাজ, জামতলীর মৃত নূর হোছাইনের ছেলে তাজ উদ্দিন, জমির উদ্দিন এবং পালংখালীর নলবুনিয়ার মৃত আহমদ উল্লাহর ছেলে আলী আহমদ।

অভিযোগকারী সুলতান আহমদ থাইংখালীর মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিলকৃত অভিযোগে সুলতান আহমদ উল্লেখ করেছেন, বিরোধীয় জমি নিয়ে সহকারী জজ আদাল, উখিয়ায় মামলা করেন। যার অপর মামলা নং-১০৩/৯৮। মামলার রায়-ডিক্রী প্রচার হওয়ার পর অপর আপিল -১০৮/২০২১ মামলা করেন অভিযুক্তগং।
এতেও আদালত সুলতান আহমদের পক্ষে রায় দেয়। এরপর আসামিপক্ষের তিনজন রিভিশন মামলা রুজু করেন। এরপর মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মুবিন তপশীলোক্ত জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

ইতিমধ্যে আসামিরা আদালতের রায় গোপন করে জাল খতিয়ান সৃজনপূর্বক জমির একাংশে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিচারপতির নজরে আনলে গত ২১ মে ওই জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রচার করেন।
ইতোমধ্যে লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতির সুযোগে বিরোধীয় জমিতে নির্মাণ কাজ করছে দখলবাজরা। যা মহামান্য আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লংঘন।

ভুক্তভোগী সুলতান আহমদ বলেন, অভিযুক্ত আলী আহমদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয়ে দখলবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার ভয়ে স্থানীয় প্রশাসন ‘রহস্যজনক নীরবতা’ পালন করছে। বিষয়টি থানায় অবগত করলে গত ৩০ জুলাই বৈঠক ডাকেন। কিন্তু লকডাউনজনিত কারণ দেখিয়ে পরবর্তী বৈঠক ৬ আগষ্ট নির্ধারণ করা হয়। এরই ফাঁকে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দখলবাজচক্র। থানা ও স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার অবগত করেও আমরা সঠিক কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। দখলবাজরা যে কোনো সময় সশস্ত্র হামলা করতে পারে। আমরা জান ও মালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।