আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
দেশজুড়ে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় নেই এর কোন কার্যকরীতা।দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বাজারও গ্রামের হাট বাজারে জনসমাগম ও দোকান পাট সবসময় খুলা।প্রশাসন লকডাউন কার্যকরে কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় মহাসড়কে চলছে ছোট খাট সবরকমের গাড়ি।এতে করে একস্থানের মানুষ অন্য স্থানে যাতায়ত অব্যাহত রয়েছে। লকডাউনকে পুঁজি করে এসব ছোট যানের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক আদায় করছে দ্বিগুণ তিনগুন ভাড়া।অপরদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও ঈদগাঁও উপজেলায় অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।মৃত্যুর তালিকাও হচ্ছে দিন দিন দীর্ঘ। সচেতন জনগণ এরজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের লকডাউন কার্যকরের উদাসীনতা ও গ্রামীণ জনগণের অসচেতনতা ও ছোট খাট যান এক উপজেলা থেকে অপর উপজেলায় যাত্রী বহনকে দায়ী করছে।অনেকসময় দেখা যায় লকডাউন কার্যকরের নামে দায়ীত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা কিছু ছোট যান আটক করে পরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।যে টাকা গুলো জরিমানা হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা করেনা।এনিয়ে লেখালেখি বা সমালোচনা হলে উক্ত প্রশাসনিক লোকজন লকডাউন কার্যকরে আর কোন ভূমিকায় রাখেনা।সাংবাদিকদের লেখালেখির কারণে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে স্থানীয় প্রশাসনকে তাদের সাথে দেখা যায়।আদালত চলে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের দেখায় মিলেনা।এতে করে ঈদগাঁও উপজেলার প্রধান বাজার ঈদগাঁও’র ৩ সহস্রাধিক দোকান এবং উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের ছোট খাট সব বাজার দিন রাত খুলা।এক কথায় ঈদগাঁও উপজেলায় লকডাউনের কোন চিহ্ন নেই বললেই চলে।এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে, বিশেষ করে কোরবানির পর থেকে ঈদগাঁও উপজেলায় করোনা সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বেড়েই চলছে।অপরদিকে সম্প্রতি মৃত্যুরহারও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েই চলছে। উপজেলার সচেতন জনগণ জানান,সময় থাকতে চলমান লকডাউন কার্যকরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।