বার্তা পরিবেশক:

প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নানা একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের মাধ্যমে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে (সিবিআইইউ) ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদ-এমন অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি লায়ন মো: মুজিবুর রহমান। আজ ২ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট অফিসে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন লায়ন মুজিব। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয় আবেদনপত্র ও ইউজিসির তদন্ত টিমের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং একই বছরের ৬ অক্টোবর ইউজিসি থেকে লায়ন মো: মুজিবুর রহমানকে প্রতিষ্ঠাতা উল্লেখ করে তার কাছেই বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের চিঠি পাঠানো হয়। এরপর গত ৭ বছর যাবত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি থেকে লায়ন মো. মুজিবুর রহমানকে প্রতিষ্ঠাতা সম্বোধন করে বিভিন্ন সময়ে পত্র আদান-প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে ২০১৩ সালে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন, প্রপোজাল বুক, ট্রাস্ট ডিড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির বিভিন্ন নথিপত্রে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের নাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এরপরও ২০২০ সালের ২ জুন করোনা মহামারির সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রদানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দখল করেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
সংবাদ সম্মেলনে লায়ন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইউজিসির একটি পরিদর্শক দল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন ও তদন্ত করে নানা অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে। ইউজিসির পরিদর্শক দলের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বৈধ কোনো উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নেই। যারা পাঠদান করেন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভাড়া করা ভবনে চলে কার্যক্রম। সেখানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অনুকূল কোনো পরিবেশ নেই। কক্সবাজার অঞ্চলের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি লায়ন মো. মুজিবুর রহমান।