ছৈয়দ আলম:
সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে কক্সবাজার জেলা ফুটবল টিমের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গ্রামে বসবাসকারী শেখ আহমদ এর পরিবারের মাঝে। শেখ আহমদ টেকনাফ উপজেলা ফুটবল টিমের অন্যতম খেলোয়াড়। সে বর্তমানে ঢাকা দীপালি সংঘ ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড়।

এদিকে বসতবাড়ী ডুবে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও তাদের পুনবার্সনের উদ্যোগ নেই।

পূর্ণিমার ভরা কটাল ও লঘুচাপের প্রভাবে টানাবর্ষণ এবং কঠোর লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলা ফুটবল টিমের খেলোয়াড় শেখ আহমদ। টানাবৃষ্টি ও লকডাউনে কর্মহীন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তার পরিবার। এ অবস্থায় টানা বর্ষণ, জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলে দুঃস্বপ্নের মতোই ডুবল জেলা ফুটবল টিমের খেলোয়াড় শেখ আহমদ এর স্বপ্নের ঘরটি।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নাফ নদীর বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুুইসগেট পয়েন্ট না থাকার কারণে হ্নীলা ইউনিয়ন ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সহ উপজেলার অন্যান্য এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া, সপ্তাহ্ কালের টানাবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। এতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে মানুষ। ভেসে শত শত পুকুর ও মাছের ঘের। মজুদ লবণের পাশাপাশি, কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান চাষ ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশণের জন্য তৈরি স্লুইস গেটগুলো বন্ধ থাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী শেখ আহমদ জানান, আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বাবা একজন দিন মজুর। মা ও আমাদের মায়া ছেড়ে এই পৃথিবী থেকে চলে গেল বছর দুয়েক হলো। যা ছিল তাও দুঃস্বপ্ন হয়ে গেলো। বৃষ্টি হলে রাতের বেলায় নির্ঘুম রাত কাটে। এভাবে কি বসবাস করা যায়। নতুন করে ঘর বানানোর সার্মথ্য নেই। বৃষ্টি নামলেই আমাদের আতঙ্ক বাড়ে।
তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ সর্বস্তরের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি মোঃ আলম বাহাদুর- দু’জনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা জানায়, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক খেলোয়াড়দের ঘরবাড়ি পানি বন্দী হয়ে পড়েছে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনে বরাত ইউপি চেয়ারম্যান মারফত পানি বন্দী পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এসব খাদ্যসামগ্রী সহযোগিতা তাদের পরিবার গুলোকেও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর শেখ আহমদ সহ যেসকল খেলোয়াড়দের পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, বেশ ক’টি পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে বেশ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছে। পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে এসব সমন্বয় করবেন।