তোফায়েল আহমদ :

বগুড়ায় বসে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সরবরাহের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন এক ট্রাক মালিক। আরিফুর রহমান আরিফ (৩০) নামে ওই ট্রাক মালিক ইয়াবা পাচার করেই এখন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। শনিবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ মহাসড়কের মরিচ্যা বিজিবি চেক পোস্টে আটক হবার পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তারই (আরিফ) ট্রাক চালক মিলন আকন্দ (৩০)।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে আলু সরবরাহ করে ফিরতি পথে ১৮ হাজার ইয়াবার চালান নিয়ে বগুড়ায় ফিরছিলেন ট্রাক চালক মিলন আকন্দ। রামুর বিজিবি-৩০ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইব্রাহিম ফারুক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে টেকনাফ মহাসড়কের মরিচ্যা বিজিবি চেক পোস্টের সদস্যরা বগুড়ামুখি ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন।

প্রথমে চালক অস্বীকার করলেও পরে তিনি ইয়াবার চালান থাকার কথা স্বীকার করেন। বিজিবি সদস্যরা ট্রাকের ছাদের উপর থাকা ত্রিপলের ভিতর ৯ প্যাকেট থাকা ১৮ হাজার ইয়াবার চালানটি উদ্ধার করেন। উক্ত পরিমাণ ইয়াবার মূল্য ৫৪ লাখ টাকা। পরে চালককে আটকসহ ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। চালকের কাছে নগদ ২০ হাজার টাকাও পাওয়া যায়। আটক চালক মিলন আকন্দ বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল গ্রামের আবদুর খালেক আকন্দের ছেলে।

বিজিবি অধিনায়কের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাক চালক মিলন আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেন। চালক মিলন বলেন, ট্রাকের মালিক বগুড়ার ফুলবাড়ি গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র আরিফুর রহমান আরিফ রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য সামগ্রী যথা চাল, ডাল ও আলু সরবরাহের আড়ালেই বহুদিন ধরে ইয়াবার চালান নিয়ে যান রোহিঙ্গা শিবির থেকে। কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরটি ইয়াবার ডিপো হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেছে অনেকদিন ধরে।

আটক ট্রাক চালক মিলন আরো জানান, গাড়ির হেলপার সামনে কক্সবাজারের লিংকরোড স্টেশনে অপেক্ষা করছিল তখন। এ কারণে হেলপারকে আটক করা যায়নি। উদ্ধার করা ইয়াবার মালিক ট্রাকচালক আরিফ বলে স্বীকার করে মিলন জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে ট্রাকে খাদ্য পাঠিয়ে ফিরতি পথে এভাবে চালানে চালানে ইয়াবা বগুড়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ইয়াবা পরিবহণের জন্য চালক মিলনও বাড়তি টাকা পাবার কথাও তিনি স্বীকার করেন।
– কালেরকন্ঠ